Last Updated:
প্রতিদিন ৩০ থেকে ৪০ কাদি তাল বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা

রাস্তায় সারিবদ্ধভাবে বিক্রি হচ্ছে তালের শাঁস
নদিয়া: কালের বিবর্তনে কৃষ্ণগঞ্জ গ্রাম্য ও পল্লী অঞ্চল থেকে অনেকটাই ম্লান হয়ে গেছে তালগাছ। তবুও বর্তমানে অনেকেই তালের আঁটি রোপণ করে ভারসাম্য ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। একই সঙ্গে নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের হাট-বাজারে তালের শাঁসের বেশ কদর বেড়েছে। মরসুমি ফল হিসেবে তালের শাঁস গ্রামীণ অর্থনীতিতেও অবদান রাখছে। নদিয়া জেলার বিভিন্ন এলাকায় এবার তালের শাঁসের ব্যাপক কদর বেড়েছে। সেই সঙ্গে বিক্রির হিড়িক পড়েছে। নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জ ,মাজদিয়ার বিভিন্ন হাট-বাজার, বেশ কিছুদিন ধরে সুস্বাদু তালের শাঁস বিক্রি করে যাচ্ছে বিক্রেতারা। এটি জনপ্রিয় সব মানুষের কাছে।
তালের শাঁসে রয়েছে গুণও। শুধু শাঁস নয়, তালের রস, গুড়, পাকা তাল, এসব অত্যন্ত মজাদার খাবার। মরসুমি ফলের মধ্য তাল শাঁসেরও ব্যাপক কদর বেড়েছে। আর যখন লিচুর ফলন কম তখন তো বলার কিছু নেই। জেলার শহর, স্বাস্থ্য বিভাগের সামনে, চৌরাস্তার মোড়ে, পৌরসভার সামনে, শহরের বিভিন্ন রাস্তার পাশে এবং ফুটপথ সহ নানা জায়গায় চোখে পড়ে ধারালো ‘দা’ দিয়ে কেটে শাঁস বের করে দিচ্ছেন বিক্রেতারা।
মাথাভাঙ্গা ব্রিজের পাশে সাড়ি বদ্ধভাবে দেখা মিলল তালের শাঁস। বিক্রেতা নারায়ণ ঘোষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তিনি এ মরসুমে তাল সংগ্রহ করে বাজারে বিক্রি করছেন। কিন্তু অন্য সময় পেশা হিসেবে বিভিন্ন কাজ করেন। ভরত বিশ্বাস জানান, কেউ একটু তরল, আবার কেউ একটু শক্ত শাঁস পছন্দ করেন। প্রতিদিন ৩০ থেকে ৪০ কাদি তাল বিক্রি হয়। এভাবেই তালের মরসুম এলে তার সংসারে স্বচ্ছলতা ফিরে আসে।
চারটি তাল শাঁস ১৫ থেকে ২০ টাকায় বিক্রি হয়। গরমে শাঁসের কদর একটু ভিন্ন। এসব তালের শাঁস কৃষ্ণপুর, পাবাখালি, শিব নিবাস মাজদিয়ার বিভিন্ন জায়গা থেকে এনে বিক্রি করা হয়। এক একটি তালগাছ ৫০০ থেকে ১০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যারা এই তালগাছ কিনছেন তারা তাল পেড়ে নিয়ে গিয়ে বাজারে বিক্রি করে মুনাফা পাচ্ছেন ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা। ফলে বলা যেতেই পারে তালগাছ অর্থনৈতিক দিক থেকে একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
Mainak Debnath
Kolkata [Calcutta],Kolkata,West Bengal
June 03, 2025 2:21 PM IST
Ice Apple Business: লিচুকে বলে বলে গোল দিচ্ছে তাল! শাঁস বিক্রি করে ব্যবসাদার কত কামাচ্ছে জানেন! শুনলে আপনিও বলবেন ‘এত’