Last Updated:
Howrah News: হাওড়ার গ্রামীণ জেলার কলেজ শ্যামপুর সিদ্ধেশ্বরী মহাবিদ্যালয় সম্প্রতি ন্যাক-এর ‘এ’ গ্রেড-এর তকমা অর্জন করল। এই কলেজে শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিত করার পাশাপাশি নেওয়া হয়েছে বেশ কিছু উদ্যোগও।

শ্যামপুর সিদ্ধেশ্বরী মহাবিদ্যালয় সম্প্রতি ন্যাক-এর “এ” গ্রেড-এর তকমা অর্জন করল
হাওড়া: হাওড়ার কলেজ শ্যামপুর সিদ্ধেশ্বরী মহাবিদ্যালয় সম্প্রতি ন্যাক-এর ‘এ’ গ্রেড-এর তকমা অর্জন করল। তা শুধু প্রতিষ্ঠানের জন্য নয়, সমগ্র জেলার জন্যই এক গর্বের বিষয়। ১৯৬৪ সালে প্রতিষ্ঠিত এই কলেজ ২০১০-১১ সালে ন্যাক দ্বারা ‘বি’ গ্রেড পেয়েছিল। ২০২৫ সালের ১৪ জুন এই কলেজ ভারতের জাতীয় মূল্যায়ন ও স্বীকৃতি পর্ষদ(NAAC) কর্তৃক এই কলেজ ‘এ’ গ্রেড প্রাপ্ত হয়ে গৌরব অর্জন করেছে। এটিই হাওড়া গ্রামীণ জেলায় একমাত্র কলেজ যারা ‘এ’ গ্রেড পেয়েছে।
বর্তমানে এই কলেজের ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা প্রায় ৪ হাজার। অধ্যাপক-অধ্যাপিকা এবং শিক্ষাকর্মী মিলিয়ে ১২০ জন এই কলেজে রয়েছেন । ছাত্র-ছাত্রীদের সুবিধার জন্য স্মার্ট ক্লাসরুম, ই-লাইব্রেরি, ওপেন এয়ার ক্লাসরুম এবং একাধিক বিভাগের ল্যাবরেটরি রয়েছে। কলেজ ক্যাম্পাসে কিচেন গার্ডেন, হার্বাল গার্ডেন, প্রজাপতি উদ্যানও তৈরি করা হয়েছে । এর পাশাপাশি কলেজে রয়েছে ইন্ডোর-আউটডোর গেম, যোগা সেন্টার এবং জিম সেন্টারও ।
এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিত করার পাশাপাশি নেওয়া হয়েছে বেশ কিছু উদ্যোগ। যার মধ্যে রয়েছে প্রতিষ্ঠানের মান বজায় রাখা, উন্নত করা। এছাড়া শিক্ষার্থীদের জন্য উপযুক্ত শিক্ষার পরিবেশ তৈরি করা-সহ প্রতিষ্ঠানের সামগ্রিক উন্নতির দিক নির্দেশ । এই ধরণের একাধিক বিষয়ে সফলভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য শ্যামপুরের সিদ্ধেশ্বরী মহাবিদ্যালয় পেয়েছে ন্যাশনাল অ্যাসেসমেন্ট অব অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিলের বা ন্যাক-এর ‘এ ‘ গ্রেড তকমা ।
কলেজ ‘এ’ গ্রেড তকমা পাওয়ায় খুশি ছাত্র-ছাত্রী এবং অধ্যাপক-অধ্যাপিকারা। এই কলেজের অধ্যক্ষ ডক্টর সব্যসাচী সেন বলেন ‘এ’ গ্রেড পাওয়া মানে শুধু স্বীকৃতি নয়, এটি ভবিষ্যতের দিশাও । এখন আমাদের লক্ষ্য হবে এই মান ধরে রাখা এবং আরও এগিয়ে যাওয়া। শিক্ষার্থীদের সর্বাঙ্গীণ বিকাশ ও আরও বেশি কর্মমুখী পাঠক্রমের মাধ্যমে ভবিষ্যতের আত্মনির্ভর নাগরিক গড়ে তোলা । এসব সম্ভব হবে যখন কলেজ স্ব-শাসিত প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত হবে ।
‘এ’ গ্রেড প্রাপ্তি মানে শুধুই প্রশাসনিক স্বীকৃতি নয়, এটি একটি বিশুদ্ধ সম্মাননা, যা শিক্ষা প্রদান পদ্ধতি, আধুনিক তম মূল্যায়ন প্রক্রিয়া, সময়োপযোগী অবকাঠামো, গবেষণার পরিবেশ, ছাত্রছাত্রীদের সার্বিক উন্নয়ন এবং সমাজমুখী কর্মকাণ্ড, কলেজের সার্বিক পরিচালন পদ্ধতি ও ভবিষ্যতের দিশার উপর ভিত্তি করে প্রদান করা হয়ে থাকে । এই অর্জন কলেজের অধ্যক্ষ, অধ্যাপক অধ্যাপিকা বৃন্দ, শিক্ষা সহায়ক কর্মী, ছাত্রছাত্রী এবং অভিভাবকদের সন্মিলিত প্রয়াসের ফসল ।
রাকেশ মাইতি
Kolkata,West Bengal
June 19, 2025 10:09 PM IST