Hooghly news: রথের আগে সুখবর! ঢেলে সাজানো হবে মাহেশ জগন্নাথ মন্দির

Hooghly news: রথের আগে সুখবর! ঢেলে সাজানো হবে মাহেশ জগন্নাথ মন্দির

Last Updated:

mahesh Rath Yatra- রথের পরই খুব শীঘ্রই সাজানো হবে হুগলি শ্রীরামপুরের নবনিলাচল মাহেশ জগন্নাথ মন্দিরকে। তৈরি হবে নতুন করে অতিথি শালা থেকে সিংহ দুয়ার এমনকি স্নান পিরির জায়গা।

X

Hooghly news: রথের আগে সুখবর! ঢেলে সাজানো হবে মাহেশ জগন্নাথ মন্দির

 মাহেশ জগন্নাথ মন্দিরের রথ

হুগলি: দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের পর এবার মহেশ জগন্নাথ মন্দিরও ঢেলে সাজানো হবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে ফোন করে এই বিষয়ে জানতে চেয়েছেন মহেশ জগন্নাথ মন্দিরের সম্পাদকের থেকে।

রথের পরই খুব শীঘ্রই সাজানো হবে হুগলি শ্রীরামপুরের নবনিলাচল মাহেশ জগন্নাথ মন্দিরকে। তৈরি হবে নতুন করে অতিথি শালা থেকে সিংহ দুয়ার এমনকি স্নান পিরির জায়গা।

২০১৯- এ জগন্নাথ মন্দিরের রথের দড়িতে টান দিয়ে গিয়েছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তখন থেকেই একাধিক পরিকল্পনা তিনি নিয়েছিলেন মাহেশ জগন্নাথ মন্দিরের জন্য। সেই মোতাবেক কাজও হয়েছে অনেক। তবে এখনও বাকি রয়েছে কিছু কাজ।

গত ১৭  জুন মুখ্যমন্ত্রী নিজে ফোন করেছিলেন মাহেশ জগন্নাথ মন্দিরের সেবাইত পিয়াল অধিকারীকে। এই সময় সম্পাদক পিয়াল অধিকারী মুখ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন মন্দির উন্নয়নের কিছু কাজ বাকি রয়েছে সেগুলি সমাপ্ত করার জন্য। মন্দিরের সিংহ দুয়ারের কাজ কিছু বাকি আছে। নতুন অতিথিশালা তৈরি হওয়ার কথা রয়েছে, এই সমস্ত কাজের জন্য একটি প্রজেক্ট তৈরি করে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে আবেদন করতে বলেছেন তিনি। রথের পরেই সেই আবেদন পাঠানো হবে মহেশ মন্দিরের তরফে।

এই বিষয়ে মন্দিরের সেবাইত পিয়াল অধিকারী জানান, জগন্নাথ মন্দিরের উন্নয়নের কাজ আগে থেকেই শুরু হয়েছিল। মাঝপথে কিছুটা সময় গিয়েছে তবে আবারও মুখ্যমন্ত্রী নিজে থেকেই জানতে চেয়েছেন, রথের পরেই তারা তাদের সমস্ত আবেদন একটি প্রজেক্ট আকারে লিখে জমা দেবেন।

পিয়াল জানান, এই মন্দিরে বিভিন্ন দূরদূরান্ত থেকে লোকজন আসেন, তাই তাঁদের জন্য একটি অতিথিশালা তৈরির প্রচেষ্টা তাঁরা চালাচ্ছেন। একইসঙ্গে মন্দিরের যে সিংহ দুয়ার রয়েছে সেখানে কাজ হবে নতুন করে। পুরীতে যেমন রথ চলার জন্য প্রশস্ত রাস্তা রয়েছে, সেই রাস্তার কিছুটা ঘাটতি আছে শ্রীরামপুরে। রাস্তায় যেভাবে জবরদখল বেড়ে গিয়েছে তাতে করে রথ চলছে সমস্যা হয়। তাই বেআইনি দখলদারি উচ্ছেদ করারও আবেদন জানিয়েছেন মন্দির কর্তৃপক্ষ।

দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের ফলে কি কোথাও পর্যটনে পিছিয়ে পড়তে পারে মহেশ জগন্নাথ মন্দির? এই প্রশ্নের উত্তরে সম্পাদক জানান, তিনি দিঘার জগন্নাথ মন্দিরকে স্বাগত জানাচ্ছেন। কোনওরকম রেষারেষি নয়, বরং মহাপ্রভু জগন্নাথের কথা যত বেশি ভাবে মানুষের কাছে ছড়িয়ে পড়ে ততই ভাল। তবে মাহেশের যে ঐতিহ্য রয়েছে তা পৌরাণিক এবং ঐতিহাসিক। সেই ঐতিহ্য বরাবরই থাকবে, এমনটাই জানিয়েছেন মন্দির কর্তৃপক্ষের সম্পাদক তথা মন্দিরের সেবাইত পিয়াল অধিকারী।

রাহী হালদার

Scroll to Top