Last Updated:

রাহী হালদার, হুগলি: কুম্ভমেলার দূর্ঘটনা থেকে সতর্ক রাজ্য প্রশাসন। তাই তারকেশ্বরে আসন্ন শ্রাবণী মেলা নিয়ে আজ সিঙ্গুরে এক উচ্চ পর্যায়ের প্রশাসনিক বৈঠক আয়োজিত হল। যাত্রী সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে এবারে অতিরিক্ত একাধিক প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে বৈঠকে।
আর দু’মাস পরেই তারকেশ্বরে শ্রাবণী মেলা শুরু হচ্ছে। প্রায় একমাস জুড়ে চলা এই মেলায় গত বছর প্রায় ২৪ লক্ষ পুণ্যার্থী তারকেশ্বর মন্দিরে জল ঢালতে ভিড় জমিয়েছিলেন। এবারে সেই ভিড় আরও বাড়বে এমনটাই মনে করছেন বৈঠক উপস্থিত আধিকারিকরা। তাই সেই ভিড়কে সুষ্ঠুভাবে কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায় তার জন্যই আগাম প্রস্তুতি বৈঠক আয়োজিত হলো সিঙ্গুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাকক্ষে।উত্তরপ্রদেশে কয়েক মাস আগে কুম্ভমেলা আয়োজিত হয়। যেখানে কয়েক কোটি মানুষ পূর্ণ অর্জনে ভিড় জমিয়েছিলেন। প্রশাসনের একাধিক ব্যবস্থা সত্বেও সেখানে একাধিক দূর্ঘটনা ঘটে। পদপিষ্ট হয়ে একাধিক পুণ্যার্থীর মৃত্যু হয়। সেই কথা মাথায় রেখে তারকেশ্বর শ্রাবণী মেলায় যাত্রী সুরক্ষার জন্য এবারে অতিরিক্ত একাধিক ব্যবস্থা গ্ৰহণ করা হচ্ছে যা রেজুলেশন আকারে লিপিবদ্ধ করা হয়।।।
বৈঠক শেষে মন্ত্রী বেচারাম মান্না জানান, এখানে যেন কুম্ভমেলায় মতো ঘটনা না ঘটে, মানুষের যেন প্রান না যায়। তাই আগাম বৈঠক করে অতিরিক্ত একাধিক প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে।যেমন, বৈদ্যবাটি-তারকেশ্বর রাস্তায় ৩৫টি লোহার লক গেট করা হবে , সমস্ত রাস্তায় আলোর ব্যবস্থা করা হবে , রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় অতিরিক্ত ২৫টি এ্যাম্বুলেস করা হবে, পাশাপাশি টোটো ও বাইক এ্যাম্বুলেন্স এর ব্যবস্থা করা হবে, গোটা তারকেশ্বর এলাকায় মোবাইল পরিষেবার মাধ্যমে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করার জন্য টেলিকম দপ্তরকে আবেদন করা হবে, সারা রাত লোকাল ট্রেন চালাবার জন্য রেলকে চিঠি দেওয়া হচ্ছে, পাশাপাশি কামারকুন্ডু থেকে বর্ধমান অবধি স্পেশাল ট্রেন যাতে চলে তার আবেদন করা হবে । রাস্তা ও ট্রেনে যাতে যাত্রী নিরাপত্তা ব্যবস্থা সুনিশ্চিত থাকে তা দেখা হবে। রাস্তা ঘাট উন্নত করা , নিকাশি ব্যবস্থার উন্নতি সহ গঙ্গার ঘাটের পরিষেবা উন্নত করা হবে। স্বাস্থ্য দফতর থেকে অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা দেওয়ার পাশাপাশি বৈদ্যবাটি থেকে তারকেশ্বর অবধি সমস্ত পঞ্চায়েত এলাকার প্রতিটি পঞ্চায়েতে একটি করে এ্যাম্বুলেন্স রাখতে আবেদন করা হয়েছে।
আজকের বৈঠকে উপস্থিত আছেন হুগলী জেলা শাসক মুক্তা আর্য, হুগলী জেলা গ্ৰামীন পুলিশ সুপার কামনাশিস সেন, চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেট এর অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ,সিঙ্গুরের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী বেচারাম মান্না, হুগলী জেলা পরিষদ সভাপতি রজ্ঞন ধাড়া সহ হরিপাল,তারকেশ্বর , চাঁপদানির বিধায়ক । বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রেল দফতরের আধিকারিক, তারকেশ্বর মন্দির কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধি , দমকল বিভাগের আধিকারিক, তারকেশ্বর পৌরসভা ও বৈদ্যবাটি পুরসভার প্রতিনিধি, স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিক, বিদ্যুৎ দফতর, পি এইচ ই সহ জেলা প্রশাষনের একাধিক প্রশাষনিক ও পুলিশ আধিকারিকরা।।
মেলা শুরুর আগে হুগলী জেলা প্রশাষনের পক্ষ থেকে এবারে একটি গাইড মাপের উদ্ধোধন করা হবে বলে প্রশাষন সূত্রে জানা গেছে। যেখানে বৈদ্যবাটি থেকে তারকেশ্বর পর্যন্ত রাস্তার পাশে যাত্রীরা তাদের সুবিধার্থে কি কি সুযোগ সুবিধা পেতে পারেন সেই সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য ও প্রয়োজনীয় ফোন নাম্বার দেওয়া থাকবে। গাইড লাইন ম্যাপটি অন লাইন ব্যবস্থার মাধ্যমে পরিচালিত হবে। অন্যদিকে ভান্ডারা দিতে আসা প্রত্যেকটি সংস্থাকে এবারে অন লাইন আবেদনের মাধ্যমে অনুমতি প্রদান করা হবে ব্লক দফতর থেকে।
Kolkata [Calcutta],Kolkata,West Bengal
Hooghly News: দু’মাস আগেই শুরু প্রস্তুতি! শ্রাবণী মেলায় পুণ্যার্থীর ভিড় সামাল দিতে একাধিক পদক্ষেপ প্রশাসনের