Last Updated:
Historical Place: প্রায় দেড়’শ বছর আগে, প্রত্যন্ত গঞ্জ এলাকায় ব্রিটিশরা গড়ে তোলে আদালত নেপথ্যে অগাধ ইতিহাস। জানুন…

জঙ্গলে ঢাকা ভগ্নপ্রায় মুন্সেফ কোর্ট
মেদিনীপুর: এককালের ইতিহাস আজ বিলীন হওয়ার পথে! যেখানে একসময় পক্ষে বিপক্ষে সওয়াল হত। যে ভবনে বসতেন বিচারক, সেই ভবন আজ ভগ্নপ্রায়। ভারতে ঔপনিবেশিক শাসনকালে বাংলার একাধিক জায়গায় বিচার ব্যবস্থা পরিচালনার জন্য ব্রিটিশরা গড়ে তুলেছিলেন আদালত। বাংলা ওড়িশা সীমানা এলাকায় গড়ে তুলেছিলেন আদালত, ইটের কয়েকটি দেওয়াল মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকলেও, তার থেকে তৈরি হয়েছে গাছ। প্রতিদিন ভেঙ্গে ভেঙ্গে পড়ছে এক একটি ইট। তবুও ইতিহাসের সাক্ষ্য, বিচার ব্যবস্থা এবং প্রাচীন দিনের ঘটনাকে বয়ে চলেছে ভগ্নপ্রায় এই নিদর্শন। তবে এর নেপথ্যে রয়েছে নানা ইতিহাস, ব্রিটিশ শাসকদের বহু পরিকল্পনা।
বাংলার এক বহু প্রাচীন জনপদ পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতন। এই দাঁতনের পর থেকেই শুরু ওড়িশা রাজ্য। মেদিনীপুরের পাশাপাশি বাংলা ওড়িশা সীমানা এলাকায় মুল ঘাঁটি করে নিজেদের প্রতিপত্তি বিস্তার শুরু করে। বাংলা-ওড়িশা সীমান্ত এলাকা দাঁতনে গড়ে তোলা হয়। তাও প্রায় দেড়শ বছরের আগের কথা। ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যাবে, মেদিনীপুর জেলা সদরে জজকোর্ট এরপর দাঁতনে গড়ে ওঠে আদালত। দাঁতনে এককালে ছিল কাজির বিচারালয়। পরবর্তীতে ইংরেজরা গড়ে তোলেন মুন্সেফ কোর্ট।
দাঁতনের মুন্সেফ কোর্ট বয়ে চলেছে সেই ইতিহাস। এককালে ব্রিটিশদের মামলা মোকদ্দমা সম্পন্ন হয়েছে এই আদালতে। তবে কালের নিয়মে পরিত্যক্ত এই আদালত আজ ধ্বংসের মুখে। দাঁতনেই নবরূপে গড়ে উঠেছে আদালত। তবে একটু লক্ষ্য করলেই দেখা যাবে, মেদিনীপুর জেলা সদরের পর একমাত্র দাঁতনেই ছিল আদালত। অবিভক্ত মেদিনীপুরের এগরা, কাঁথিতেও তখন আদালত স্থাপিত হয়নি। দাঁতনকে প্রশাসনিক কেন্দ্র ভেবেই এখানে গড়ে ওঠে আদালত। স্বাভাবিকভাবে ইতিহাসের সাক্ষী দাঁতন। ঐতিহাসিক প্রশাসনিক ক্ষেত্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ পায় বাংলার সীমানার এই গঞ্জ। ব্রিটিশ শাসনকালে প্রান্তিক এই এলাকা ব্রিটিশ শাসকদের কাছে ছিল মূল শহর। তাই এখানেই গড়ে ওঠে তাদের আদালত, যা বয়ে চলেছে সুদীর্ঘ ইতিহাসকে।
রঞ্জন চন্দ
Kolkata,West Bengal
July 12, 2025 9:58 PM IST