Health Tips: মরশুম পরিবর্তনেই হামের আতঙ্ক! কী ভাবে বাঁচবেন এই রোগ থেকে! জেনে নিন চিকিৎসকের পরার্মশ

Health Tips: মরশুম পরিবর্তনেই হামের আতঙ্ক! কী ভাবে বাঁচবেন এই রোগ থেকে! জেনে নিন চিকিৎসকের পরার্মশ

Last Updated:

Health Tips: সংক্রামিত ব্যক্তির কাশি বা হাঁচির মাধ্যমে সংক্রমণটি হওয়ার মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। তবে এই সময় এই রোগের থেকে কী ভাবে নিজেকে সুরক্ষিত রাখা সম্ভব, জেনে নিন।

X

Health Tips: মরশুম পরিবর্তনেই হামের আতঙ্ক! কী ভাবে বাঁচবেন এই রোগ থেকে! জেনে নিন চিকিৎসকের পরার্মশ

প্রতিকী ছবি

কোচবিহার: আবহাওয়ার পরিবর্তনের এই মরসুমে যখন শীত বিদায় নিচ্ছে আর বসন্ত আসছে, তখন  বহু বাচ্চা থেকে বড়, হাম বা রুবেওলা নামের একটি ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে। এই ভাইরাসের সংক্রমণ সরাসরি শ্বাসযন্ত্রকে প্রভাবিত করে। হাম একটি অত্যন্ত সংক্রামক রোগ যা সংক্রামিতের শ্লেষ্মা বা লালার সংস্পর্শ থেকেই ছড়িয়ে পড়তে পারে সহজে। একজন সংক্রামিত ব্যক্তির কাশি বা হাঁচির মাধ্যমে সংক্রমণটি হওয়ার মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। তবে এই সময় এই রোগের থেকে কী ভাবে নিজেকে সুরক্ষিত রাখা সম্ভব, সেই বিষয়ে পরামর্শ দিচ্ছেন অভিজ্ঞ চিকিৎসক অর্ণব নিয়োগী।

অভিজ্ঞ চিকিৎসক জানান, হাম হল একটি ভাইরাসজনিত সংক্রমণ, যা শিশুদের ক্ষেত্রে খুবই পরিচিত। এটি অত্যন্ত সংক্রামক এবং হাঁচি-কাশির ফোঁটার মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। হাম হলে শিশুদের জ্বর, কাশি, গলাব্যথা, সাদা দাগ, সর্দি, চোখ ভেজা, শরীরে ব্যথা হয় লক্ষ করা যায়। এই ভাইরাসে বাচ্চা থেকে বড় সকলের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। সেই কারণে ছোট বয়সেই এই রোগের টিকাকরণ করানো জরুরি। কারণ এই রোগের ক্ষেত্রে কোনও ওষুধ সঠিক ভাবে কাজ করে না। তবে হাম হলে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। সাধারণত তিন থেকে সাত দিনের মধ্যেই হামে আক্রান্ত রোগী পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠে।

তিনি আরও জানান, এই ভাইরাস আক্রান্ত হলে রোগীকে বিশেষ ভাবে পরিচর্যা করতে হয়। মূলত এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীকে আলাদা রাখা বেশি ভাল। তাহলে সেই রোগীর থেকে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা থাকে না। এছাড়া এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে অনেকের মধ্যে ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে রোগীকে স্নান করানো যাবে না। এমনটা ঠিক নয়। গরম জলে রোগীকে স্নান করানো ভাল এই সময়। এছাড়া ভিটামিন এবং প্রোটিন খাওয়ানো উচিত এই সময়ে রোগীকে। নাহলে রোগীর শরীর দুর্বল হয়ে যেতে পারে অনেকটা। তবে অবশ্যই এই রোগের টিকাকরণ করা উচিত ছোট বেলায়। এটি নিরাপদ এবং হাম প্রতিরোধে অত্যন্ত কার্যকর।

হামের ক্ষেত্রে এই সকল বিষয় মেনে চললেই এই রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব। তবে যদি এই রোগে কোনও বাচ্চা বা ব্যক্তি আক্রান্ত হয়ে পড়েন, তবে অবশ্যই অভিজ্ঞ চিকিৎসকের সঠিক পরার্মশ মেনে রোগীর পরিচর্যা করা উচিত। তবেই রোগী দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবে।

সার্থক পণ্ডিত

Next Article

Vegetable Rezala: কষিয়ে রাঁধুন এঁচোড় রেজালা, ইয়াম্মি, টেস্টি এতটাই যে ফেল করে যাবে চিকেন-মাটনও

Scroll to Top