Hair Eating Woman: চুল খেয়ে পেটের ভেতরে আধা কেজির চুলের গাঁট! অপারেশনে প্রাণ বাঁচল তরুণীর…

Hair Eating Woman: চুল খেয়ে পেটের ভেতরে আধা কেজির চুলের গাঁট! অপারেশনে প্রাণ বাঁচল তরুণীর…

Last Updated:

Hair Eating Woman: প্রয়াগরাজের চিকিৎসকরা এক ২১ বছরের তরুণীর পেট থেকে বের করলেন আধা কেজির চুলের গাঁট। দীর্ঘদিন ধরে মানসিক রোগে ভুগছিল সে এবং চুল খাওয়ার অভ্যাসের ফলে তৈরি হয়েছিল ভয়ানক পরিস্থিতি। সফল অস্ত্রোপচারে প্রাণে বাঁচল মেয়েটি।

চুল খেয়ে পেটের ভেতরে আধা কেজির চুলের গাঁট! অপারেশনে প্রাণ বাঁচল তরুণীর...Hair Eating Woman: চুল খেয়ে পেটের ভেতরে আধা কেজির চুলের গাঁট! অপারেশনে প্রাণ বাঁচল তরুণীর…
চুল খেয়ে পেটের ভেতরে আধা কেজির চুলের গাঁট! অপারেশনে প্রাণ বাঁচল তরুণীর…

প্রয়াগরাজ: কৌশাম্বীর এক তরুণীর আচরণে পরিবারের সবাই ভাবতেন, সে হয়তো মজা করেই মাঝে মাঝে চুল খায়। কেউ কল্পনাও করতে পারেননি, এই অভ্যাস মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে মেয়েটিকে। দীর্ঘদিন ধরে মানসিক চাপে ভুগতে থাকা ২১ বছরের মঞ্জু নামে ওই তরুণী, নিজের এবং পরিবারের মা-বোনদের মাথা থেকে চুল ছিঁড়ে খেতেন। প্রথমে পরিবার বিষয়টিকে তেমন গুরুত্ব দেয়নি, বরং মনে করতেন এটা একধরনের খেলা।

কিন্তু ধীরে ধীরে মেয়েটির পেট ফুলতে শুরু করে, অস্বাভাবিক ব্যথা, বমি, ক্ষুধামান্দ্য ও দ্রুত ওজন হ্রাস লক্ষ করা যায়। তাকে একের পর এক হাসপাতালে নেওয়া হয়, কিন্তু কোনও আল্ট্রাসাউন্ড কিংবা পরীক্ষায় কিছু ধরা পড়েনি। রোগের সঠিক পরিচয় মিলছিল না, এমনকি কেউ অস্ত্রোপচার করতে সাহসও দেখাচ্ছিল না।

শেষমেশ পরিবার তাকে নিয়ে আসে প্রয়াগরাজের নারায়ণ স্বরূপ হাসপাতালে। এখানেই ডাক্তারদের একটি বিশেষজ্ঞ দল — ডা. রাজীব সিং, ডা. বিশাল কেওলানি, ডা. যোগেন্দ্র ও ডা. রাজ মউর্যর নেতৃত্বে — সিদ্ধান্ত নেন অপারেশনের।

সার্জারির সময় চমকে ওঠেন সকলেই। মঞ্জুর পেটের মধ্যে তৈরি হয়েছিল একটি ১.৫ ফুট লম্বা ও ১০ সেমি চওড়া চুলের গাঁট, যা ওজনে প্রায় আধা কেজি। এটি একটি মেডিকেল কন্ডিশন, যার নাম Trichobezoar। চুলগুলো পাকতে পাকতে একটি বড় টিউমারের মতো রূপ নিয়েছিল, যা বের না করলে তার প্রাণনাশ হতো।

সতর্কতায় ও দ্রুত সিদ্ধান্তে দুই ঘণ্টার এই জটিল অপারেশন সফল হয়। এখন মঞ্জু সুস্থ, স্বাভাবিক খাওয়া-দাওয়া করছে এবং মানসিক চিকিৎসার মাধ্যমে ধীরে ধীরে সুস্থতার পথে।

এই ঘটনা আমাদের মনে করিয়ে দেয়— ছোট ছোট অদ্ভুত অভ্যাসকে অবহেলা না করে, সময়মতো মানসিক এবং শারীরিক চিকিৎসা জরুরি। না হলে, ছোট সমস্যা বড় বিপদের রূপ নিতে পারে।

Scroll to Top