Last Updated:
উত্তরবঙ্গে তৈরি হবে নতুন একটি ইকো-ট্যুরিজম পার্ক

ডাঙ্গি ফরেস্টে গড়ে উঠবে ইকো-ট্যুরিজম পার্ক
দক্ষিণ দিনাজপুর: দীর্ঘদিন যাবৎ অবহেলায় পড়ে থাকা বালুরঘাটের ডাঙ্গি ফরেস্টে নতুন করে ইকো-ট্যুরিজম পার্ক হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ নিল বালুরঘাট পঞ্চায়েত সমিতি। আত্রেয়ী নদী সংলগ্ন ডাঙ্গি ফরেস্টেটি প্রায় ২০ একর জায়গা জুড়ে রয়েছে৷ সেখানে নয়া প্রকল্প গড়ে তুলতে প্রায় এক কোটি টাকার ডিপিআর বানিয়ে ফান্ড চেয়ে রাজ্য পঞ্চায়েত দফতরে পাঠানো হয়েছে।
পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে, বিগত প্রায় ১০ বছর আগে ওই ফরেস্টে একবার ইকো-ট্যুরিজম পার্ক গড়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। এমনকি পঞ্চায়েত পক্ষ থেকে ১০০ দিনের কাজের মাধ্যমে ফরেস্টের মধ্য দিয়ে ক্যানেল খোঁড়া হয়েছিল। কিন্তু কোন এক অজানা কারণে সেই প্রকল্প মুখ থুবড়ে পড়ে রয়েছে। এবার ফের নতুন করে ওই ডাঙ্গি ফরেস্টকে ইকো পার্ক গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে বালুরঘাট পঞ্চায়েত সমিতি।
এবিষয়ে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অরুপ সরকার বলেন, “ডাঙ্গি ফরেস্টকে ইকো পার্ক গড়ে তোলার জন্য প্রায় এক কোটি টাকার সেই ডিপিআর রাজ্য পঞ্চায়েত দফতরে পাঠিয়েছি। অনুমোদন পেলেই ওই কাজ শুরু হবে। আশা করা যায় খুব শীঘ্রই সেই অনুমোদন চলে আসবে। ফরেস্টের ইকো সিস্টেম বজায় রেখেই ওই ইকো পার্ক তৈরি করা হবে।”
নতুন করে ওই পার্ক গড়ে ওঠার বিষয়টি জানতে পেরে খুশি গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয়দের পক্ষ থেকে জানা যায়, আত্রেয়ী নদীর পাশেই ডাঙ্গি ফরেস্টের বহু গাছ রয়েছে। তবে, মাঝেমধ্যেই গাছ কাটার বিষয়টি সামনে আসে। এরফলে দিন দিন গাছের সংখ্যাও কমছে। পাশাপাশি শীতের মরসুমে এই ফরেস্টে পিকনিক করার ভিড় সব থেকে বেশি নজরে আসে। প্রায় তিন থেকে চার মাস ধরে চলে অগাধ পিকনিক।এবার পার্ক তৈরি হলে রক্ষণাবেক্ষণ আরও ভাল হবে।
তবে পঞ্চায়েত সমিতির তরফে জানা গিয়েছে, ওই ইকো-ট্যুরিজম পার্ক হলে পরিবেশ আরও সুন্দর হবে। সৌন্দর্যায়নের রূপে গড়ে বাউন্ডারি ওয়াল দিয়ে ঘিরে দেওয়া হবে। পিকনিক স্পটের পাশাপাশি বনভূমির ভেতর দিয়ে রাস্তা, বসার জায়গা, শিশুদের একাধিক খেলার পরিবেশ গড়ে তোলা সহ পাখি ও অন্যান্য বন্য প্রাণীকে সংরক্ষণের ব্যবস্থাও করা হবে। এক কথায় বলা যেতে পারে বাচ্চা কিংবা বয়স্ক সব ধরনের মানুষদের জন্য একাধিক মনোরঞ্জনের জায়গা তৈরি ব্যবস্থা করা হবে।
পাশাপাশি, ডাঙ্গি বনভূমির মধ্য দিয়ে বয়ে চলা আত্রেয়ী নদীর শাখাটিকে সংস্কার করে তার দুই দিকে ঘাট করে নৌকা পারাপারের ব্যবস্থা করা হবে। ওই ইকো-ট্যুরিজম পার্ক তৈরি হলে সাধারণ মানুষের যেমন কর্মসংস্থান হবে, পাশাপাশি প্রাকৃতিক মনোরম পরিবেশের জন্য দূর দূরান্ত থেকে প্রচুর সাধারণ মানুষ ঘুরতে আসবে এই জেলায়। এরফলে স্থানীয় বাসিন্দারা আর্থিকভাবে উপকার পাবে। পাশাপাশি পঞ্চায়েত সমিতি ও পঞ্চায়েতের আয় বাড়বে।
সুস্মিতা গোস্বামী
Kolkata [Calcutta],Kolkata,West Bengal