East Medinipur News: মর্মান্তিক…! বাবার সামনে বজ্রপাতে ছেলের মৃত্যু, মাঠে চাষ করতে গিয়ে ঘটে গেল এত বড় ঘটনা

East Medinipur News: মর্মান্তিক…! বাবার সামনে বজ্রপাতে ছেলের মৃত্যু, মাঠে চাষ করতে গিয়ে ঘটে গেল এত বড় ঘটনা

Last Updated:

East Medinipur News: আমন ধান চাষ করার আগে জমি চষার জন্য মাঠে পাওয়ার টিলার নিয়ে গিয়েছিল বাবা ও ছেলে। আর বাবার সামনে এই ছেলের করুণ পরিণতি।

বজ্রপাতEast Medinipur News: মর্মান্তিক…! বাবার সামনে বজ্রপাতে ছেলের মৃত্যু, মাঠে চাষ করতে গিয়ে ঘটে গেল এত বড় ঘটনা
বজ্রপাত

নন্দকুমার, পূর্ম মেদিনীপুর: সকাল থেকেই আকাশে কালো মেঘ। থেকে থেকেই বৃষ্টি হচ্ছে। বর্ষাকাল আমন ধান চাষের সময়। আমন ধান চাষ করার আগে জমি চষার জন্য মাঠে পাওয়ার টিলার নিয়ে গিয়েছিল বাবা ও ছেলে। আর বাবার সামনে এই ছেলের করুণ পরিণতি। অল্পের জন্য বাবা প্রাণে বাঁচলেও ছেলেকে হারাতে হল। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দকুমারে। নন্দকুমারে বাজ পড়ে মৃত্যু হল একজনের। গুরুতর আহত অবস্থায় তাম্রলিপ্ত গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি আরও একজন।

পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দকুমার থানার অন্তর্গত খঞ্চি এলাকার যুবক ধীরাজ হাজরা ও বাবা ভাগবত হাজরা প্রতিদিনের মতই এদিন সকালে বাবা ভাগবত হাজরার সঙ্গে পাওয়ার টিলার নিয়ে চাষের জমিতে হাল করতে গিয়েছিলেন। সকাল প্রায় সাড়ে ছ’টা নাগাদ আচমকা বৃষ্টির সঙ্গে শুরু হয় প্রবল বজ্রপাত। তখন তারা মাঠে পাওয়ার টিলার দিয়ে লাঙ্গল করছিলেন। বজ্রাঘাতে মৃত্যু হয় ওই যুবকের। আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তাঁর বাবা। এই মর্মান্তিক ঘটনায় শোকের ছায়া নেমেছে গোটা গ্রামে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বজ্রপাত এতটাই প্রবল ছিল যে মুহূর্তের মধ্যে জমিতে লুটিয়ে পড়েন বাবা ও ছেলে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের উদ্ধার করে নিয়ে যান তমলুকের তাম্রলিপ্ত গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসকেরা ধীরাজকে মৃত ঘোষণা করেন। তাঁর বাবা ভাগবত হাজরা এখনও চিকিৎসাধীন, তাঁর অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল রয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। এই ঘটনার খবর গ্রামে পৌঁছতেই শোকের ছায়া নেমে আসে হাজরা পরিবারে। ছেলে এবং স্বামীর এই আকস্মিক মৃত্যুর খবরে কান্নায় ভেঙে পড়েন ধীরাজের মা ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা।

আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন

আত্মীয় স্বজনেরা জানান, ধীরাজ প্রতিদিন বাবার সঙ্গে জমিতে কাজ করতে যেতেন। কিন্তু বজ্রাঘাতে এভাবে প্রাণ যাবে, কেউ ভাবতেই পারেনি। ধীরাজের মামা বলেন, “আমার জামাইবাবু ও ভাগ্নে পাওয়ার টিলার নিয়ে মাঠে গিয়েছিল হাল করতে। বজ্রাঘাতে এমন ঘটনা ঘটবে, আমরা কল্পনাও করিনি। ভাগ্নেকে হারিয়ে পুরো পরিবার ভেঙে পড়েছে।” হাসপাতালের তরফে ময়না তদন্তের পর মৃতদেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে নন্দকুমার থানার পুলিশ।

সৈকত শী

Scroll to Top