East Bardhaman News: একটানা বৃষ্টির কারণে জলমগ্ন সবজির জমি, চিন্তায় পূর্ব বর্ধমানের চাষিরা 

East Bardhaman News: একটানা বৃষ্টির কারণে জলমগ্ন সবজির জমি, চিন্তায় পূর্ব বর্ধমানের চাষিরা 

Last Updated:

টানা বৃষ্টির জেরে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমান জেলার পূর্বস্থলীর বিশ্বরম্ভা এলাকার চাষিরা।

+

East Bardhaman News: একটানা বৃষ্টির কারণে জলমগ্ন সবজির জমি, চিন্তায় পূর্ব বর্ধমানের চাষিরা 

সবজির জমিতে জল 

বনোয়ারীলাল চৌধুরী, পূর্ব বর্ধমান: টানা বৃষ্টির জেরে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমান জেলার পূর্বস্থলীর বিশ্বরম্ভা এলাকার চাষিরা। লাগাতার বৃষ্টির ফলে বিভিন্ন খেতের জমিতে জল জমে রয়েছে। এর ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ঢ্যাঁড়শ ও পটল চাষিরা। চাষিরা জানাচ্ছেন, জল নিকাশির পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টিতেই জমিতে জল দাঁড়িয়ে পড়ে। এবারের পরিস্থিতিও তার ব্যতিক্রম হয়নি। বিশেষ করে যেসব জমিতে ঢ্যাঁড়শ ও পটলের চাষ হয়েছে, সেগুলো এখন কার্যত জলমগ্ন। বহু গাছ ইতিমধ্যেই জলের নিচে চলে গেছে। ফলে গাছ পচে যাওয়ার আশঙ্কা ক্রমেই বাড়ছে। চাষিরা বলছেন, পটল চাষে তাঁদের হাজার হাজার টাকা খরচ হয়েছে।

অথচ, এখন যখন বাজারে পটলের ভাল দাম, তখন ফলনই মিলছে না। এতে তাঁদের আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ আরও বেশি হওয়ার আশঙ্কা করছেন। সবজি চাষি রণজিৎ দাস বলেন, “সবজির জমিতে এখনও জল জমে রয়েছে। জল নেমে গেলে তারপর রোদ উঠলে গাছ শুকিয়ে যেতে থাকবে, ফলন অনেক কমে যাবে। আমরা খুবই চিন্তায় আছি। সবজির জমিতে এখনও জল জমে রয়েছে। চাষিরা নিজেদের সবজি চাষকে সামনে রেখে যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, তা কার্যত ভেস্তে যেতে বসেছে।”

হতাশা আর উদ্বেগ নিয়েই দিন কাটাচ্ছেন বিশ্বরম্ভার কৃষক পরিবারগুলো। তাঁদের কথায়, বৃষ্টি হলে আর ঘুম আসে না, সারারাত কেবল মন পরে থাকে জমির দিকে। উল্লেখযোগ্য যে পূর্ব বর্ধমান জেলার পূর্বস্থলীকে ‘সবজির ভান্ডার’ বলা হয়। প্রতি বছর এখান থেকে বিপুল পরিমাণে ঢ্যাঁড়শ, পটল, লঙ্কা, কুমড়ো-সহ নানা ধরনের সবজি রাজ্যের বিভিন্ন বাজারে সরবরাহ করা হয়। কিন্তু, এবার সেই সবজি চাষই যেন তাঁদের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সবজি চাষি তাপস দাস বলেন, “এখন বাজারে পটলের দাম ভাল আছে। কিন্তু আমাদের ফলন এখন কম। আবার এই বৃষ্টির ফলে আমাদের অনেক ক্ষতি হবে। গাছ মরে যাবে কিনা এখন সেটাই ভাবছি। এমনিতেই অনেক টাকা চাষের জন্য খরচ হয়েছে।”

চাষিরা দাবি করছেন, এলাকার জলনিকাশির সমস্যার স্থায়ী সমাধান না হলে প্রতি বছরই একইভাবে তাঁদের এই পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে। প্রশাসনের তরফে জরুরি হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

Scroll to Top