Dragon Fruit: ফল তো নয়, যেন সোনা…এইভাবে চাষ করুন, ৮ লাখ টাকা পর্যন্ত লাভ করতে পারবেন

Dragon Fruit: ফল তো নয়, যেন সোনা…এইভাবে চাষ করুন, ৮ লাখ টাকা পর্যন্ত লাভ করতে পারবেন

Last Updated:

ড্রাগন ফ্রুট চাষে প্রায় ২ লাখ টাকা ব্যয় করেছেন এবং এই ফল সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত হতে প্রায় ১ বছর ৫ মাস সময় লাগে। কৃষক বছরে ৩ থেকে ৪ বার এই ফলটি তুলতে পারেন

Dragon Fruit Cultivation
Image: News18Dragon Fruit: ফল তো নয়, যেন সোনা…এইভাবে চাষ করুন, ৮ লাখ টাকা পর্যন্ত লাভ করতে পারবেন
Dragon Fruit Cultivation
Image: News18

কলকাতা: খুব বেশি বছর আগের কথা নয়। বড় জোর বছর দশেক হবে। তখন ড্রাগন ফ্রুট সবে বাজারে আসতে শুরু করেছে। এখন কোনও জিনিস নতুন বাজারে এলে যা হয়, ড্রাগন ফ্রুট নিয়েও তা-ই হচ্ছিল। দাম ছিল বেশ অনেকটাই বেশি অন্য ফলের তুলনায়। সব জায়গায় যে পাওয়া যেত, এমনটাও নয়। তবে, এখন পরিস্থিতি বদলে গিয়েছে। বাজারের ফলের দোকান তো বটেই, এমনকি রেল স্টেশন সংলগ্ন ফলের দোকানেও ড্রাগন ফ্রুট পাওয়া যায়। দামও কমে এসেছে আগের তুলনায় কিছুটা। তা হলেও মোটের উপরে এ দামি ফল, চাষ করলে লাভও তাই সুনিশ্চিত।

বোকারোর কৃষক স্বপন মাহাতোই যেমন ১ বিঘা জমিতে ড্রাগন ফলের চাষ করে তাঁর আয় দ্বিগুণ করেছেন এবং একটি উদাহরণ স্থাপন করেছেন। একই সঙ্গে তিনি স্থানীয় কৃষকদের আধুনিক কৃষিকাজের জন্য অনুপ্রাণিত করছেন। কৃষক স্বপন মাহাতো বলেন, লকডাউনের সময় ইন্টারনেটে ইউটিউব থেকে তিনি ড্রাগন ফল চাষের অনুপ্রেরণা পেয়েছেন। তারপর ২০২২ সালে, তিনি ড্রাগন ফলের চাষ করার সিদ্ধান্ত নেন এবং কলকাতা থেকে ২০০টি গাছের অর্ডার দিয়ে চাষ শুরু করেন। বিগত বছর, ২০২৪ সালে, তিনি প্রথমবারের মতো ফল পেয়েছিলেন, যা থেকে প্রায় ৪ লাখ টাকা আয় হয়েছিল। এই বছর, আরও ২০০টি গাছ প্রস্তুত, তাই এ বছর ৬ থেকে ৮ লক্ষ টাকা লাভের সম্ভাবনা রয়েছে।

৬ থেকে ৮ লাখ টাকা লাভ –

কৃষক স্বপন মাহাতো জানান, তিনি ড্রাগন ফ্রুট চাষে প্রায় ২ লাখ টাকা ব্যয় করেছেন এবং এই ফল সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত হতে প্রায় ১ বছর ৫ মাস সময় লাগে। কৃষক বছরে ৩ থেকে ৪ বার এই ফলটি তুলতে পারেন। তাঁরা তাঁদের উৎপাদিত পণ্য স্থানীয় বাজারে বিক্রি করেন, যেমন সেক্টর-৪-এর লক্ষ্মী মার্কেট এবং সেক্টর-৫-এর হাতিয়ার পাইকারি মান্ডি।

স্বপন মাহাতো বলেন, তাঁর পরিবারের সদস্যদেরও এই কাজে প্রচুর সহযোগিতা রয়েছে। তিনি একজন পেশাদার গ্রাফিক ডিজাইনার। তাঁর স্ত্রী এবং ছেলেও কাজের ফাঁকে খামারের দেখাশোনা করতে সাহায্য করেন। পরিশেষে, কৃষক স্বপন মাহাতো স্থানীয় কৃষকদের পরামর্শ দিয়েছেন, যাঁরা কম খরচে বেশি লাভ করতে চান, তাঁদের জন্য ড্রাগন ফ্রুটের চাষ একটি ভাল বিকল্প। কারণ বোকারোর জলবায়ু ড্রাগন ফ্রুটের জন্য খুবই ভাল বলে মনে করা হয় এবং স্থানীয় বাজারে এর ভাল চাহিদা রয়েছে।

Scroll to Top