Dilip Ghosh: জলও খেলেন না, রাগে গজগজ করতে করতে বিজেপি অফিস ছাড়লেন দিলীপ!কী ঘটল খড়্গপুরে?

Dilip Ghosh: জলও খেলেন না, রাগে গজগজ করতে করতে বিজেপি অফিস ছাড়লেন দিলীপ!কী ঘটল খড়্গপুরে?

Last Updated:

দিলীপ ঘোষের মতো সিনিয়র নেতা এ ভাবে বৈঠকের মাঝপথে বেরিয়ে যাওয়ায় অস্বস্তিতে পড়েন বিজেপি জেলা নেতৃত্ব৷

বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ৷ Dilip Ghosh: জলও খেলেন না, রাগে গজগজ করতে করতে বিজেপি অফিস ছাড়লেন দিলীপ!কী ঘটল খড়্গপুরে?
বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ৷

শঙ্কর রাই, খড়্গপুর: দিলীপ ঘোষকে নিয়ে বিজেপি-র অস্বস্তি যেন কাটছেই না৷ এবার নিজের খাসতালুক খড়্গপুরেই বিজেপি-র সাংগঠনিক বৈঠকে যোগ দিয়ে অপমানিত হলেন দিলীপ৷ রাগে গজগজ করতে করতে বিজেপির দলীয় অফিস থেকে বেরিয়ে যেতে দেখা গেল প্রাক্তন সাংসদ দিলীপ ঘোষকে৷ ক্ষুব্ধ দিলীপকে বলতে শোনা গেল, বৈঠকে কেন ডেকেছিল জানি না, জলও খাইনি৷

সোমবার দুপুর নাগাদ শহরের ঝাপেটাপুরের একটি দলীয় কার্যালয়ে সাংগঠনিক বৈঠক করতে উপস্থিত হয়েছিলেন দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা হুগলির প্রাক্তন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়।

যেহেতু খড়্গপুর শহরেই উপস্থিত ছিলেন, তাই হয়তো বৈঠকে থাকার জন্য দিলীপকেও আহ্বান জানিয়েছিলেন তাঁরই ‘অনুগামী’ হিসেবে পরিচিত জেলা সভাপতি সমিত মণ্ডল। অন্যান্যদের মধ্যে এই বৈঠকে ছিলেন দলের রাজ্য সম্পাদক সোনালী মুর্মু, প্রাক্তন জেলা সভাপতি সুদাম পণ্ডিত প্রমুখ। তাঁরা সকলেই দিলীপ অনুগামী হিসেবেই পরিচিত। বৈঠকে ছিলেন না শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামী কোন নেতাই। অথচ তা সত্ত্বেও বৈঠকের একেবারে শেষ মুহূর্তে প্রবেশ করেন দিলীপ!

এত দেরিতে বৈঠকে এলেও মাত্র কুড়ি-পঁচিশ মিনিট থেকেই বৈঠক থেকে বেরিয়ে যেতে দেখা যায় দিলীপ ঘোষকে৷ বৈঠকে কী আলোচনা করা হল প্রশ্ন করা হলে ক্ষুব্ধ সুরেই দিলীপ বলেন, ‘কেন বৈঠকে ডেকেছিল জানি না৷ জলও খাইনি৷’ এর পরই গাড়িতে উঠে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দেন দিলীপ ঘোষ৷

দিলীপ ঘোষের মতো সিনিয়র নেতা এ ভাবে বৈঠকের মাঝপথে বেরিয়ে যাওয়ায় অস্বস্তিতে পড়েন বিজেপি জেলা নেতৃত্ব৷

দিলীপ ঘোষ বেরিয়ে যাওয়ার প্রায় ২০ মিনিট পর দলীয় কার্যালয় থেকে বের হন লকেট চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “মেদিনীপুর নিয়ে কিছু সাংগঠনিক আলোচনা হয়েছে, দিলীপদা মেদিনীপুরের প্রাক্তন সাংসদ, উনি আসতেই পারেন। ওঁকে সবসময়ই স্বাগত!”

এরপর কোনও প্রশ্ন করার আগেই গাড়িতে উঠে পড়েন লকেট। অন্যদিকে, দিলীপ ঘোষ কেন রাগে গজগজ করতে করতে বেরিয়ে যান, সেই প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে দলের জেলা সভাপতি সমিত মণ্ডল বলেন, “দিদি (লকেট) এসেছিলেন। সাংগঠনিক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সেরকম কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়! দিলীপ দা শেষ মুহূর্তে এসেছিলেন। কিছু আলোচনা হয়েছে।” তবে, জেলা সভাপতি যাই বলুন না কেন, সূত্রের খবর দিলীপ ঘোষের উপস্থিতিতে দলের সাংগঠনিক কোনও আলোচনাই হয়নি, আর তা বুঝতে পেরেই সম্ভবত বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে যান ক্ষুব্ধ দিলীপ৷

Scroll to Top