Digha News: দিঘার পাশেই এ-কী অবস্থা…! থমকে জীবনের ছন্দ, শিশুদের হাসি, কল্পনাও করতেই পারবেন না

Digha News: দিঘার পাশেই এ-কী অবস্থা…! থমকে জীবনের ছন্দ, শিশুদের হাসি, কল্পনাও করতেই পারবেন না

Last Updated:

Digha News: বন্ধ হয়ে গেছে স্কুল, থেমে গেছে পড়াশোনা। এলাকার মানুষ বাঁচার জন্য লড়ছেন, অথচ তাদের কষ্টের কথা জানা নেই দিঘায় ঘুরতে আসা হাজার হাজার পর্যটকের।

+

Digha News: দিঘার পাশেই এ-কী অবস্থা…! থমকে জীবনের ছন্দ, শিশুদের হাসি, কল্পনাও করতেই পারবেন না

দিঘা ও জলমগ্ন গ্রাম

দিঘা, পূর্ব মেদিনীপুর: দিঘার সমুদ্রতটে যখন ছুটির আমেজে পর্যটকের ভিড়, ঠিক তখনই সৈকত শহরের পাশেই বাধিয়া অঞ্চলে চলছে নীরব এক সংগ্রাম। সুবর্ণরেখা নদীর জলে প্লাবিত হয়েছে দিঘার লাগোয়া বারবাটিয়া, বাখারপুর, কান্ডগ্রাম, কচুয়া ও উত্তর বাধিয়া গ্রাম। এক মাসেরও বেশি সময় ধরে জলমগ্ন অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন এখানকার শত শত মানুষ। থমকে গেছে জীবনের স্বাভাবিক ছন্দ, থেমে গেছে শিশুদের হাসি, ঘরছাড়া স্বপ্ন।

গত ২৩ জুন সুবর্ণরেখা নদীর জলস্তর আচমকা বেড়ে যায়। পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগর এক নম্বর ব্লকের এই পাঁচটি গ্রামে বাঁধ উপচে প্রবেশ করে নদীর জল। জলমগ্ন হয় বাধিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় পাঁচটি গ্রাম। কাঁচা ঘর তলিয়ে গেছে, পাকা বাড়িতে জল চুঁইয়ে ঢুকছে। বহু পরিবার খোলা আকাশের নিচে অস্থায়ী ভাবে বসবাস করছেন। চরম দুর্ভোগের মধ্যে দিন কাটছে বয়স্ক মানুষ, শিশু ও মহিলাদের। বন্ধ হয়ে গেছে স্কুল, থেমে গেছে পড়াশোনা। এলাকার মানুষ বাঁচার জন্য লড়ছেন, অথচ তাদের কষ্টের কথা জানা নেই দিঘায় ঘুরতে আসা হাজার হাজার পর্যটকের। জমে থাকা জলে বাড়ছে সংক্রমণের আশঙ্কা। ডেঙ্গি, জ্বর, সর্দি ও পেটের অসুখে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা।

আশপাশের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পৌঁছন কার্যত অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে, কারণ রাস্তাও জলমগ্ন। এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি, পর্যাপ্ত নিকাশি ব্যবস্থা, পাকা রাস্তা ও স্বাস্থ্য পরিষেবা আজও অধরা। প্রশাসনের কাছে একাধিকবার দাবি জানান হলেও পরিস্থিতির কোনও উন্নতি হয়নি, অভিযোগ গ্রামবাসীদের। গ্রামের এক বাসিন্দা সৈকত পন্ডা বলেন, “আমরা চারবার বন্যার কবলে পড়েছি। ওড়িশার জল ছেড়ে দেওয়ায় আমাদের এত দুর্দশা। প্রশাসনকে বারবার জানিয়েও কিছু হয়নি। আমরা ত্রাণ চাই না, দ্রুত বাঁধ নির্মাণ হোক, রাস্তাঘাট উঁচু করা হোক।” আর এক গ্রামবাসী কৃষ্ণপদ পন্ডার কথায়, “আমাদের প্রধান দাবি পানীয় জল ও একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র। অসুস্থ হয়ে পড়লেও কোথাও যাওয়ার উপায় নেই।”

আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন

দিঘার সৈকতের ঠিক পাশেই এমনই এক করুণ চিত্র লুকিয়ে রয়েছে। যেখানে মানুষ এক মাস ধরে জলবন্দি হয়ে বেঁচে থাকার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। এই পাঁচটি গ্রামের মানুষ কেবল ত্রাণ নয় চায় স্থায়ী সমাধান। বাঁধ নির্মাণ, সঠিক নিকাশি ব্যবস্থা, পাকা রাস্তা ও স্বাস্থ্য পরিষেবা।এই দাবির প্রতি যতদিন না প্রশাসন সাড়া দেবে, ততদিন দিঘার পর্যটনের ঝলমলে আলোয় ঢাকা পড়ে থাকবে বাধিয়ার অঞ্চলের এই অন্ধকার।

মদন মাইতি

Scroll to Top