Death Mystery: গোল্ডপার্কে পরিবারের তিন সদস্যের দেহ উদ্ধার কাণ্ডে বিরাট মোড়! কী কারণে মৃত্যু?

এখানেই শেষ নয়, আত্মহত্যার আগে যে নোট তাঁরা লিখেছেন, তাতে ওই ফ্ল‍্যাট মালিককে উদ্দেশ্য করেও কিছু কথা লিখেছেন বলে জানা গিয়েছে। কী লেখা আছে তাতে? সেই নোটে ওই পরিবার লিখেছেন, বাড়ি ভাড়া বাবদ অগ্রিম দেওয়া ছিল। গত তিন মাস ধরে বাড়ি ভাড়া ও বিদ্যুতের বিল দিতে পারেননি। অগ্রিম যে টাকা জমা আছে, তা থেকে কাটিয়ে নেবেন। আরও পাঁচ হাজার টাকা মুকুব করে দেবেন…। এই লেখা থেকেও পুলিশ অনুমান করছে ভট্টাচার্য পরিবার আর্থিক অনটনের মধ‍্যেই ছিলেন।

এমন কি ঘটনার পর মঙ্গলবার রাতেই মৃতদের আত্মীয়দের সাথে কথা বলে আর্থিক অনটনের বিষয়টি নিশ্চিত হতে পেরেছে পুলিশ। রিয়েল এস্টেটের এজেন্ট বা বোকার হিসেবে কাজ করতেন সরোজিৎ ভট্টাচার্য, বছর খানেক ধরে একদিকে বয়সের কারণে ছোটাছুটি করতে না পারা এবং প্রতিযোগিতায় না পেরে ওঠার কারণে আর্থিক স্বচ্ছলতায় টান পড়ে বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। ছেলেকে নিয়েও দুঃশ্চিন্তায় ছিলেন ভট্টাচার্য দম্পতির বলেও জানা গেছে। প্রাথমিক ভাবে এই সব কারণেই আত্মহত্যা বলেই মনে করছে পুলিশ।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার রাজডাঙা মেইন রোডে একই পরিবারের তিনজনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। বাবা, মা ও তাঁদের ৩০ বছরের ছেলের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সেখানেই মেলে সুইসাইড নোট।তাঁরা রাজডাঙা গোল্ডপার্ক এলাকায় ভাড়া থাকতেন। সোমবার সকালে দেখা যায়, তাঁদের ফ্ল্যাটের দরজা বন্ধ। কোলাপসিবল গেট ও কাঠের দরজা, দুটোতেই তালা দেওয়া। সন্দেহ হয় প্রতিবেশীদের। তারাই পুলিশে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয় বাসিন্দাদের উপস্থিতিতে দরজা ভেঙে ফ্ল্যাটে ঢোকে এবং তিন জনের দেহ উদ্ধার করে।