Darsheel Safari Interview: “জীবেন চড়াই-উতরাই আসবে, বিশ্বাস হারালে চলবে না, সমস্যা কাটিয়ে এগিয়ে যেতে হবে”

Darsheel Safari Interview: “জীবেন চড়াই-উতরাই আসবে, বিশ্বাস হারালে চলবে না, সমস্যা কাটিয়ে এগিয়ে যেতে হবে”

উত্তর: প্রচুর, ছোটবেলা থেকে দাবা খেলছি৷ কারণ আমি আমার র‍্যাঙ্কিং বাড়াতে চাইছি, আগে ৮০০ মতো র‍্যাঙ্কিং-এ ছিলাম৷ এখন আমি ৬০০তে৷ আরও উন্নতি করতে চাইছি৷

২) গেমারলোগে রঘুর চরিত্রটি তোমার নিজের কেমন লাগে?

উত্তর:  যারা গেম খেলে তারা আসক্ত হয়৷ রঘুও তেমন একজন নয়৷ রঘু খুব সহজ সরল ছেলে৷ ১৭ বছর বয়সের ছেলেটি সবদিক থেকে চাপে রয়েছে৷ অভিভাবকরা তাকে চাপ দিচ্ছে ইঞ্জিনিয়ারিং করতে৷ তার নিজেরও কিছু ইচ্ছে রয়েছে জীবনে ভাল কাজ করার৷ তখন সে জানতে পারে যে তার মধ্যে গেমার হওয়ার সব প্রতিভা রয়েছে৷ ফলে ওর চরিত্রে বহু লেয়ার রয়েছে৷ বলা যেতে পারে যে ভিতর থেকে শান্ত এবং বাইরে থেকে খুবই চঞ্চল রঘু৷ রঘু গেম খেলে কারণ সে ভালবাসে৷ সেখানে কোনও অ্যাডিকশনের ব্যাপার নেই৷ গেম খেলার ফলে যে যে চরিত্রগত সমস্যা হতে পারে, তা রঘুর হয়নি৷ গেমারলোগ সিরিজের মাঝামাঝি এপিসোড দেখলেই বুঝতে পারবেন যে রঘু কতটা শান্ত হয়ে গেছে এবং পারিপার্শ্বিক সব ঘটনার উপর কতটা নজর রাখতে শুরু করেছে৷ সে ২৪ ঘণ্টা গেমও খেলে না৷ কারণ ও খুব ভালভাবে জানে যে গেমের দুনিয়ার বাইরেও কত কী রয়েছে৷Darsheel Safari Interview: “জীবেন চড়াই-উতরাই আসবে, বিশ্বাস হারালে চলবে না, সমস্যা কাটিয়ে এগিয়ে যেতে হবে”

৩) শ্যুটিং-এর সময়টা নিশ্চয়ই খুব আনন্দ করেছেন৷ কারণ এটা বন্ধুত্বের গল্প….

উত্তর:  ১০০ শতাংশ৷ শুটিং দারুণ ছিল৷ খুব মজা করেছি৷ ডিরেক্টরদের বারবার ধন্যবাদ জানিয়েছি এত সুন্দর কাজ দেওয়ার জন্য৷ অভিনেতা হিসেবে সব সময় একটা বন্ধুত্বপূর্ণ শ্যুটিং সেট চাই৷ চাপমুক্ত পরিবেশ চাই৷ এমন কাজ যেখানে নিজের মতো করে কিছু করার স্বাধীনতা থাকে৷ গেমারলোগ করতে গিয়ে সেই অভিজ্ঞতাই হয়েছে৷ শুধু তাই নয়, কাজ করতে গিয়ে সকলে খুব ভাল বন্ধু হয়ে গিয়েছি৷ আমাদের নিজেদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ হয়েছে, আমরা নিয়মিত দেখা করি৷ আর আমরা একসঙ্গে ২০২৪-এর টি টোয়েন্টি ওয়ার্ল্ড কাপ একসঙ্গে দেখলাম, এর থেকে ভাল আর কী হতে পারে!

৪) আপনি কী মনে করেন গেম খেলা শুধুমাত্র ইয়ং জেনারেশনের জন্য?

উত্তর:  আমি নিজে গেমার, ফলে অনেকে ভেবেছিলেন যে আমি নিজে গেমারলোগ তৈরি করেছি৷ তবে সেটা নয়, আমি শুধু এতে অভিনয় করেছি৷ আমি মনে করি না গেমিং শুধুমাত্র তরুণ-তরুণীদের জন্য৷ আমি অনেকেকে চিনি যারা বেশি বয়সেও গেম খেলেন৷ আমার বাবা গেম খেলতেন, এবং সেখান থেকে আমি গেমিং শিখি৷ অভিনয় দেও স্যার, শোয়ের প্রযোজক, প্রচুর গেম খেলেন৷ এমন আরও অনেকে রয়েছে যাঁরা গেম খেলেন৷

৫) গেমিং-এর ভাল দিক ও খারাপ দিক কী কী?

উত্তর:  গেমিং বা এধরনের খেলা একদম নিজস্ব রুচি থেকে আসে৷ গেম খেলতে গিয়ে বাস্তব দুনিয়া থেকে অনেকটা দূরে সরে যায়৷ তবে এটাও ঠিক যে গেম খেললে নাকি মস্তিষ্কের মোটর নিউরন সিস্টেমের অনেকটা উন্নত হয়৷ হাত-চোখের কোর্ডিনেশনও ভাল হয়৷ ক্রিকেট, ফর্মুলা ওয়ান এমনকী মিলিটারি ট্রেনিং-এও এধরনের খেলা ট্রেনিং-এর অংশ হিসেবে ব্যবহার করা হয়৷ বিষয়টা হল কে কতটা বাঁধন মেনে খলছে৷ অনেক সময় বাবা-মায়েরা বলেন যে গেম খেলা ভাল নয়, তবে সবটা ঠিক নয়৷ গেম বিশ্বের যে কোনও জায়গা থেকে খেলা যায়৷ এবং এতে বুদ্ধির বিকাশ পায়৷

খুব বেশি খেললে বিপদ৷ ফলে নিয়ন্ত্রণে থেকে গেম খেলা উচিৎ৷ আর যদি তুমি শুধুমাত্র গেম খেলতে গিয়ে বাস্তবের সঙ্গে দূরত্ব বাড়িয়ে দাও, তাহলে সমস্যা হতে পারে৷

৬) দর্শিল মানেই তারে জমিন পর…এখনও কী সেভাবেই আপনাকে সকলে চেনেন? নতুন চরিত্রে আপনার গ্রহণযোগ্যতায় সমস্যা হয়?

উত্তর:  আমি যদিও বেশি কাজ করিনি৷ ফলে সেই চিন্তা আমার নেই৷ আমি বিশ্বাস করি যে যদি নিজের অভিনয় দক্ষতা বাড়িয়ে আরও বেশি চরিত্রে অভিনয় করতে পারি তাহলে আমার কেরিয়ারের জন্য উন্নতি হবে৷ এটাই আমার লক্ষ্য৷

৭) সিতারে জমিন পর দেখেছেন? কেমন লাগল? কতটা আবেগতারিত ছিলেন এই ছবি দেখে?

উত্তর:  সিতারে জমিন পর পুরোপুরি তারে জমিন পরের সিক্যুয়েল নয়৷ আমার দারুণ লেগেছে, হলে খুবই ইতিবাচক একটা পরিবেশ ছিল৷

৮) গেমারলোগ থেকে কী শিখলে?

উত্তর:  যদিও তুমি কোনও বিষয় ভাল হও, নিজের উপর বিশ্বাস থাকে তাহলে সেটা করা উচিৎ৷ আমি মানি যে তুমি নিজের দক্ষতায় যা করবে, সময় তার দাম দেবে৷ শুধু বিশ্বাস হারালে চলবে না৷ জীবনে উত্থান-পতন আসবে, বিশ্বাস রাখতে হবে, এই সমস্যাগুলো কাটিয়ে এগিয়ে যেতে হবে৷ হারলে চলবে না৷

৯) হাতে আর কী কী কাজ রয়েছে?

উত্তর:  আছে, ২ ছবি, ১টি ওয়েব সিরিজ৷ এগুলোর জন্য অপেক্ষায় রয়েছি৷

বাংলা খবর/ খবর/বিনোদন/

Darsheel Safari Interview: “জীবেন চড়াই-উতরাই আসবে, বিশ্বাস হারালে চলবে না, সমস্যা কাটিয়ে এগিয়ে যেতে হবে”

Scroll to Top