Last Updated:
Coachbihar: শুরুতেই নজির জেলা সদর হাসপাতালের । নতুন চিকিৎসকের হাত ধরে ‘গল ব্লাডারে’ মাইক্রো সার্জারি শুরু করল জেলা হাসপাতাল। প্রথম অপারেশন সফল। অপারেশনের পরের দিনই সুস্থ হয়ে ছুটি পেলেন রোগী। ঘটনায় জেলা সদর হাসপাতালের প্রশংসা রোগীর পরিবারের।

কোচবিহার: শুরুতেই নজির জেলা সদর হাসপাতালের । নতুন চিকিৎসকের হাত ধরে ‘গল ব্লাডারে’ মাইক্রো সার্জারি শুরু করল জেলা হাসপাতাল। প্রথম অপারেশন সফল। অপারেশনের পরের দিনই সুস্থ হয়ে ছুটি পেলেন রোগী। ঘটনায় জেলা সদর হাসপাতালের প্রশংসা রোগীর পরিবারের।
জেলা হাসপাতাল সুত্রে জানা গিয়েছে কোচবিহার জেলার খোল্টা ঘোষপাড়া এলাকার বাসিন্দা গৃহবধু অনিতা বর্মন। মাস দুয়েক আগে তিনি পেটে ব্যাথা নিয়ে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালের আউটডোরে আসেন। সেখানেই তাকে পেটের ইউ এস জি ( আল্ট্রাসোনোগ্রাফি ) করতে বলা হয়। ইউ এস জির রিপোর্টেই ধরা পড়ে অনিতা বর্মনের গল ব্লাডারে পাথর হয়েছে। আর তার পরেই শনিবার ওই রোগীর গল ব্লাডারে মাইক্রো সার্জারি করে পাথর বের করেন সার্জেন ডাক্তার মনোজিৎ বর্মন।
এই প্রথম জেলা সদর হাসপাতালে গল ব্লাডারের মাইক্রো সার্জারি হল। এত দিন এখানে এই রোগের ওপেন সার্জারি অর্থাৎ পেট কেটে অপারেশন করতেন চিকিৎসকরা। কিন্তু পেট না কেটে যন্ত্রে মাইক্রো সার্জারি এই প্রথম। জেলা সদর হাসপাতালের সুপার ডাঃ পরিতোষ মণ্ডল বলেন, “নতুন যে ১২ জন চিকিৎসক আমরা পেয়েছি মনোজিৎ তাদের মধ্যে একজন। উনি উদ্যোগ নিয়ে এই অপারেশন করেছে। অত্যন্ত সফল অপারেশন হয়েছে। রোগী একদিনেই হেটে চলে বেড়াচ্ছেন। সেই কারণে অপারেশনের একদিন পরেই আমরা রোগীকে ছুটি দিতে পারছি।”
বিভিন্ন সুত্র থেকে জানা গিয়েছে গল ব্লাডারে মাইক্রো সার্জারি মালদার বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল একসময় খুব নাম করেছিল। বর্তমানে জেলা স্তরেও বেসরকারি কিছু নার্সিংহোমে এই অপারেশন হয়। সেক্ষেত্রে এই অপারেশনে খরচ পড়ে অন্তত ৪০ হাজার টাকা। এই অপারেশন সম্পূর্ণ বিনামুল্যে শুরু করে দিল জেলা সদর হাসপাতাল। চিকিৎসক মনোজিৎ বর্মন বলেন, “সুপার স্যার আমাদের সাহায্য করেছেন। সার্জারি মানেই টিম ওয়ার্ক। কয়েকজন মিলেই আমরা এই কাজ করেছি। মাইক্রো সার্জারি বিদ্যা এখন অনেক এগিয়ে গেছে। আমরা আমাদের পরিকাঠামোতেই সেই বিদ্যাকে কাজে লাগিয়েছি। সফল অপারেশন হয়েছে।”
রোগীর স্বামী বিশ্বজিৎ বর্মন বলেন , “আমাকে অনেকে বেসরকারি হাসপাতালে এই অপারেশন করতে বলেছিল। কিন্তু আমাদের অত টাকা নেই। দিশেহারা হয়ে গিয়েছিলাম। পাশে দাঁড়িয়েছে জেলা হাসপাতালের চিকিৎসকরা। শনিবার অপারেশনের পরেই রোগী অনেকটা সুস্থ্য হয়ে গেছে। আজ ছুটি দিয়ে দিয়েছে আমাদের। জেলা হাসপাতালের এই পরিষেবা সত্যিই নজির তৈরি করল।”
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, পেট কেটে এই অপারেশন করলে রোগীর কষ্ট বেশি হয়। পেটে কাটা থেকে যায়। এই অপারেশনের জন্য অন্তত ১০ দিন বেড রেস্টে থাকতে হয় রোগীকে। সব দিক দিয়ে এই রোগে মাইক্রো সার্জারি খুবই সুবিধে জনক। সেটাই এবার থেকে শুরু হয়ে গেল জেলা হাসপাতালে।
রাজকুমার কর্মকার
Kolkata,West Bengal
June 29, 2025 3:08 PM IST