Basmati Rice Export Crisis: ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধের প্রভাব, ভারতের বন্দরে আটকে এক লক্ষ টন বাসমতি চাল, কোটি কোটি টাকা ক্ষতি আশঙ্কা

Basmati Rice Export Crisis: ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধের প্রভাব, ভারতের বন্দরে আটকে এক লক্ষ টন বাসমতি চাল, কোটি কোটি টাকা ক্ষতি আশঙ্কা

Last Updated:

Basmati Rice Export Crisis: ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধের জেরে ভারতের এক লক্ষ টন বাসমতি চাল বন্দরে আটকে রয়েছে। রপ্তানি থমকে যাওয়ায় রপ্তানিকারকরা আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন এবং বাজারে চালের দামও ৪-৫ টাকা কমে গেছে, বিস্তারিত জানুন…

ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধের প্রভাব, ভারতের বন্দরে আটকে এক লক্ষ টন বাসমতি চাল, কোটি কোটি টাকা ক্ষতি আশঙ্কাBasmati Rice Export Crisis: ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধের প্রভাব, ভারতের বন্দরে আটকে এক লক্ষ টন বাসমতি চাল, কোটি কোটি টাকা ক্ষতি আশঙ্কা
ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধের প্রভাব, ভারতের বন্দরে আটকে এক লক্ষ টন বাসমতি চাল, কোটি কোটি টাকা ক্ষতি আশঙ্কা

নয়াদিল্লি: ভারতের ব্যবসায় এখন সরাসরি প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে ইরান ও ইজরায়েলের মধ্যে চলমান সংঘাত। এই যুদ্ধের কারণে ভারতের প্রায় ১ লাখ টন বাসমতি চাল গত এক সপ্তাহ ধরে গুজরাটের কাণ্ডলা ও মুন্দ্রা বন্দরে আটকে রয়েছে।

এই চাল মূলত ইরানে রপ্তানি হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু যুদ্ধ পরিস্থিতির জেরে পরিবহন এবং বিমা সংক্রান্ত সমস্যার কারণে চাল পাঠানো যাচ্ছে না।

অল ইন্ডিয়া রাইস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সতীশ গোয়েল জানিয়েছেন, ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধের ফলে পশ্চিম এশিয়ার দিকে যাওয়ার জন্য এখন কোনও জাহাজ পাওয়া যাচ্ছে না। একইসঙ্গে আন্তর্জাতিক বিমা কোম্পানিগুলো যুদ্ধজনিত কারণে এসব চালান বিমার আওতায় আনতে চায় না। এর ফলে রপ্তানিকারকরা বিপাকে পড়েছেন, কারণ বিমা ছাড়া ওই সমস্ত চাল যুদ্ধপ্রবণ এলাকায় পাঠালে বড়সড় ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।

ভারতের মোট বাসমতি চাল রপ্তানির প্রায় ১৮-২০ শতাংশ ইরানে যায়। অর্থাৎ, ইরান ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাসমতি চাল আমদানিকারক। সউদি আরব এই তালিকায় শীর্ষে থাকলেও ইরান দীর্ঘদিন ধরেই ভারতের অন্যতম প্রধান বাজার। ২০২৪-২৫ আর্থিক বছরে ভারত ইরানে প্রায় ১০ লাখ টন বাসমতি চাল রপ্তানি করেছে। তবে বর্তমানে যেসব চাল বন্দরে আটকে রয়েছে, তার আর্থিক মূল্য বহু কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে।

এই অচলাবস্থার ফলে ভারতের অভ্যন্তরীণ বাজারেও প্রভাব পড়েছে। দেশের বাজারে বাসমতি চালের দাম ৪-৫ টাকা প্রতি কেজি কমে গেছে। কারণ, রপ্তানি না হলে মজুদ বেড়ে যায় এবং দাম পড়ে যায়। এছাড়া আগেও ইরানের সঙ্গে বিলম্বিত পেমেন্ট ও মুদ্রা সংক্রান্ত সমস্যার মুখোমুখি হয়েছেন ভারতীয় ব্যবসায়ীরা।

এই সংকট নিয়ে অল ইন্ডিয়া রাইস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন ও APEDA (Agri-Export Promotion Authority)-র সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে এবং ৩০ জুন কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল-এর সঙ্গে বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে। সেখানে হয়তো কোনও সমাধান বের করা সম্ভব হতে পারে।

ইরাক, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং আমেরিকা-সহ আরও কিছু দেশ ভারতের বাসমতি চাল আমদানিকারক হলেও, পশ্চিম এশিয়ায় চলমান যুদ্ধ রপ্তানিতে বড় ধাক্কা এনে দিয়েছে। যদি এই সংঘাত দীর্ঘস্থায়ী হয়, তবে ভারতীয় কৃষক ও রপ্তানিকারকদের উপর অর্থনৈতিক চাপ আরও বাড়বে।

Scroll to Top