Bankura News: হাতে দু’দিনের ছুটি? কংসাবতীতে নৌকাবিহার আর সূর্যাস্ত—বর্ষায় ছুটির ঠিকানা হোক মুকুটমণিপুর

Bankura News: হাতে দু’দিনের ছুটি? কংসাবতীতে নৌকাবিহার আর সূর্যাস্ত—বর্ষায় ছুটির ঠিকানা হোক মুকুটমণিপুর

Last Updated:

Mukutmanipur Tourism: নৌকা বিহার এলেই দেখতে পাবেন সারি সারি নৌকো, দাঁড় করানো রয়েছে ড্যামের ধারে।

X

Bankura News: হাতে দু’দিনের ছুটি? কংসাবতীতে নৌকাবিহার আর সূর্যাস্ত—বর্ষায় ছুটির ঠিকানা হোক মুকুটমণিপুর

সবুজ মুকুটমণিপুর

বাঁকুড়া: বর্ষার অপেক্ষায় মুকুটমণিপুর এবং নৌকাবিহার। বাঁকুড়ার রানী মুকুটমণিপুরে এসেছেন আর নৌকাবিহারে যাবেন না, এটা হয় না। আর নৌকাবিহারে গেলে অবশ্যই চোখে পড়বে কাঠের নৌকাগুলি। বিশেষভাবে চোখে পড়বে নৌকাগুলির নাম। প্রত্যেকটি নৌকার রয়েছে আলাদা আলাদা নাম। এই নামগুলোই যেন বারবার ডেকে আনে পর্যটকদের।

এবার নিম্নচাপে কংসাবতী ড্যামের জল বাড়বে কিছুটা। নীল জল প্রতিবছর মন টানে হাজার হাজার পর্যটকের। এই ড্যামকে কেন্দ্র করে জীবিকা চলে বহু নৌকাচালকের। যারা প্রতি বছর পর্যটকদের কংসাবতী ড্যামকে কেন্দ্র করে ডিয়ার পার্ক, দুই নদীর সঙ্গমস্থল এবং আরও সুন্দর সুন্দর ঘোরার জায়গাগুলি ঘুরিয়ে দেখান। বৃষ্টির কারণে বেড়েছে কিছুটা জলস্তর। পর্যটকদের ভিড় বাড়ার আশা রয়েছে যথেষ্ট।

নৌকাবিহার এলেই দেখতে পাবেন সারি সারি নৌকা, দাঁড় করানো রয়েছে ড্যামের ধারে। আর তাদের মাথায় লেখা রয়েছে নাম, যেমন সোনারতরী, অন্নপূর্ণা, প্রভুজি, কিরণমালা এবং আরও কত কি! এক নৌকাচালক জানান, “যে যার নিজের পছন্দমতো নাম রাখেন। তবে সেই নাম দেখে আকৃষ্ট হন পর্যটকেরা। প্রথমবার যে নামের নৌকায় উঠেছিলেন সেই নামের নৌকাকেই খোঁজেন দ্বিতীয়বার।”

একটি নৌকায় প্রশাসনের নিয়ম অনুযায়ী সর্বোচ্চ ১৮ জন উঠতে পারে। প্রত্যেকেই পাবেন লাইফ জ্যাকেট। নৌকাবিহারের তিনটি প্যাকেজ রয়েছে। আড়াই ঘণ্টার সর্বোচ্চ প্যাকেজটির ভাড়া হল মাথাপিছু ১৫০ টাকা করে। ন্যূনতম ১০ জন অথবা রিজার্ভ ১৫০০ টাকা না হলে নৌকা ছাড়বে না। সর্বোচ্চ প্যাকেজে দুই নদীর সঙ্গমস্থল, কালী মন্দির, ডিয়ার পার্ক, সোনার বাংলা পার্ক এবং পরেশনাথ মন্দির। এর পর রয়েছে ১ ঘণ্টার “রানিং প্যাকেজ”। নাম লেখা নৌকার সংখ্যা প্রায় ৭০টি।

নীলাঞ্জন ব্যানার্জী

Scroll to Top