Last Updated:
India-Bangladesh- ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে উত্তেজনার পারদ আবারও চড়েছে। ভারত সরকার একটি বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে এর মধ্যে। এখন থেকে বাংলাদেশ থেকে কিছু নির্দিষ্ট পাটজাত পণ্য ও দড়ির আমদানি স্থলপথে আর হবে না।

কলকাতা : ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে উত্তেজনার পারদ আবারও চড়েছে। ভারত সরকার একটি বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে এর মধ্যে। এখন থেকে বাংলাদেশ থেকে কিছু নির্দিষ্ট পাটজাত পণ্য ও দড়ির আমদানি স্থলপথে আর হবে না। শুধু একটি ব্যতিক্রম হিসেবে মহারাষ্ট্রের নাভা শেবা (Nhava Sheva) বন্দর দিয়ে এখনও এই পণ্য আমদানি করা যাবে। কিন্তু সকল সীমান্ত বা স্থলবন্দর (যেমন: পেট্রাপোল, গেদে, ফুলবাড়ি ইত্যাদি) দিয়ে আমদানি পুরোপুরি নিষিদ্ধ।
বাংলাদেশের যে চারটি পণ্যের ওপর ভারত আমদানি বিধিনিষেধ আরোপ করেছে, সেগুলো হলো পাট ও পাটজাতীয় পণ্যের কাপড়, পাটের দড়ি বা রশি, পাটজাতীয় পণ্য দিয়ে তৈরি দড়ি বা রশি এবং পাটের বস্তা বা ব্যাগ। বাংলাদেশ থেকে উল্লেখিত এসব পণ্য যে পরিমাণ ভারতে রপ্তানি হয়, তার ১ শতাংশের কাছাকাছি যায় সমুদ্রপথে। বাকিটা স্থলপথে রপ্তানি হয়। ফলে বিধিনিষেধের কারণে মূলত এসব পণ্য রপ্তানির সহজ পথটি বন্ধ করে দিয়েছে ভারত।
ভারতের অভ্যন্তরীণ বাজারে পাট শিল্প রক্ষার উদ্দেশ্যে এই পদক্ষেপ। অনেকদিন ধরেই অভিযোগ ছিল যে বাংলাদেশ থেকে সস্তা দামে পাটজাত পণ্য আমদানি হওয়ায় ভারতের ঘরোয়া শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিল। এখন সরকার দেশীয় উৎপাদকদের সুরক্ষা দিতে এই পদক্ষেপ নিয়েছে। এটাই প্রথমবার নয়, ভারত এমন কড়া পদক্ষেপ আগেও নিয়েছে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে।
এর আগে গত ২৭ জুন ডিজিএফটি বাংলাদেশ থেকে স্থলবন্দর দিয়ে বেশ কয়েক ধরনের পণ্য আমদানিতে বিধিনিষেধ জারি করেছিল। স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি বিধিনিষেধ দেওয়া ওই সব পণ্যের মধ্যে ছিল—কাঁচা পাট, পাটের রোল, পাটের সুতা ও বিশেষ ধরনের কাপড়। এর সঙ্গে নতুন করে আরও চার ধরনের পণ্য যোগ হল এবার।
Kolkata,West Bengal
August 11, 2025 10:54 PM IST