Bamboo Flute: বাঁশ ও পাটশোলা দিয়েই তৈরি বাঁশি, দামেও সস্তা তাও আজও ছোটদের মন জিতে নেয় এই খেলনা

Bamboo Flute: বাঁশ ও পাটশোলা দিয়েই তৈরি বাঁশি, দামেও সস্তা তাও আজও ছোটদের মন জিতে নেয় এই খেলনা

Last Updated:

Bamboo Flute: বাঁশ ও পাটশোলা দিয়েই তৈরি হচ্ছে এই বাঁশি! সময় পাল্টালেও কদর কমেনি আজও

X

Bamboo Flute: বাঁশ ও পাটশোলা দিয়েই তৈরি বাঁশি, দামেও সস্তা তাও আজও ছোটদের মন জিতে নেয় এই খেলনা

বাঁশের তৈরি বাঁশি

কোচবিহার: একটা সময় ছিল যখন বাঁশের তৈরি এই বাঁশি বহু বাচ্চাদের মন আকর্ষণ করত। তবে সময়ের সঙ্গে সেই চাহিদা কমেছে অনেকটাই। তবে বর্তমানে আবারও বহু কচিকাঁচাদের পছন্দের হয়ে উঠেছে এই বিশেষ বাঁশি। এই বাঁশি তৈরি করতে ব্যবহার করা হচ্ছে পাতলা বাঁশ, পাট শোলা এবং রঙবেরঙের টেপ। এগুলি দিয়ে খুব সহজেই তৈরি হয়ে যাচ্ছে এই বাঁশি। তাইতো একেবারে কম দামে মাত্র ২০ টাকা থেকে ৪০ টাকা মূল্যে পাওয়া যাচ্ছে এই বাঁশি। তবে এই বাঁশি নির্মাতারা ও বিক্রেতারা আসেন ভিন রাজ্য থেকে এই জেলায়।

এই বাঁশি নির্মাতা ও বিক্রেতা মহম্মদ জামিল জানান, “দীর্ঘ সময় ধরে এই বাঁশি রাস মেলায় বিক্রির জন্য নিয়ে আসেন তাঁরা। আর বাঁশি বিক্রির জন্য সমস্ত কাঁচা মালও নিয়ে আসতে হয় তাঁদের। মেলার কয়েকদিন তাঁদের ত্রিপল টানিয়ে রাস্তাতেই নিজেদের বাসস্থান তৈরি করে নিতে হয়। আর এর ফলে কিছুটা হলেও লাভের মুখ দেখতে পারেন।” মোহাম্মদ খশিমুদ্দিন শেখ জানান, “আগে এই জিনিসের চাহিদা অনেকটা ছিল। এখন সেরকম নেই। তবে বাচ্চাদের আধুনিক খেলনাকে অনেকটাই পাল্লা দেয় এই কম দামের হাতে তৈরি বাঁশি।”

আরও পড়ুন – Old Hindu Mandir Found: জম্মু-কাশ্মীরের জঙ্গলের ভিতর হঠাৎ দেখা মিলল প্রাচীন সৌধের, খোদাই রয়েছে হিন্দু মূর্তি

রাস মেলায় আসা এক পর্যটক দিবকর তালুকদার জানান, “এই বাঁশি যেন নস্টালজিয়া তৈরি করে। হাতে এই বাঁশি নিলেই যেন মন চলে যায় ছোট বেলায়। দিনের পর দিন আধুনিক খেলনা বাজার দখল করলেও, হাতে তৈরি এই বাঁশি কদর আজও রয়েছে। বর্তমানে এই মূল্যবৃদ্ধির কারণে এই বাঁশি ২০ টাকা থেকে ৪০ টাকা হয়েছে। তবে আগে আরোও কম দামেই মিলত এই বাচ্চাদের বাঁশি। রাস মেলার সূচনা লগ্ন থেকেই এই বাঁশি ছোটদের নজর আকর্ষণ করে আসছে।”

শুধুমাত্র মেলার মধ্যেই নয়। মেলার পাশপাশি শহরের বিভিন্ন রাস্তায় ঘুরে বেড়িয়ে বিক্রেতারা বিক্রির করছেন এই বাঁশি। তাই রাস মেলার এই কয়দিন এই বাঁশি দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। রাস মেলা শেষে আবারও বিক্রেতারা ফিরে যাবেন নিজেদের রাজ্যে। আবার একটা বছর পর এই বাঁশি গুলি বিক্রি করতে ফিরে আসবেন এই জেলায়। তবে সময় পাল্টালেও এই বাঁশের তৈরি বাঁশির কদর একেবারে ফিকে হয়ে যায়নি বাচ্চাদের কাছে।

Sarthak Pandit

Scroll to Top