Last Updated:
Animal: বাসের ভেতর গোপন কুঠুরি। তার মধ্যে লুকিয়ে পাচার করা হচ্ছিল তাদের। গোপন সূত্রে খবর এসেছিল বন দপ্তরের কাছে। খবর পাওয়া মাত্র কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে শুরু হয় অভিযান। একের পর এক বাস দাঁড় করিয়ে শুরু হয় তল্লাশি, তাতেই মিলল সাফল্য।

বাসের ভেতর গোপন কুঠুরি। তার মধ্যে লুকিয়ে পাচার করা হচ্ছিল তাদের। গোপন সূত্রে খবর এসেছিল বন দপ্তরের কাছে। খবর পাওয়া মাত্র কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে শুরু হয় অভিযান। একের পর এক বাস দাঁড় করিয়ে শুরু হয় তল্লাশি, তাতেই মিলল সাফল্য। পূর্ব বর্ধমানে সড়ক পথে পাচারের আগেই বন দপ্তরের তৎপরতায় উদ্ধার ১৫০টি টিয়া পাখি।
গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে প্রায় দেড়শোটি টিয়া পাখি উদ্ধার করে বর্ধমান বন বিভাগ। খাঁচাবন্দি টিয়া পাখিগুলি আপাতত বন দপ্তরের তত্ত্বাবধানে রাখা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া টিয়াপাখিগুলিকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে বন দপ্তর সূত্রে জানা গেছে। বর্ধমান বিভাগের বনাধিকারিক সঞ্চিতা শর্মা জানান, উদ্ধার হওয়া টিয়া পাখিগুলি রোজ রিঙ্কড প্যারাকিট প্রজাতির। এগুলি বেশিরভাগই বিহার, ঝাড়খণ্ডের পাহাড়ি এলাকায় পাওয়া যায়।
শুক্রবার ভোরে বন দপ্তরের কাছে গোপন সূত্রে খবর আসে, আসানসোলের দিক থেকে বাসে করে প্রচুর সংখ্যক টিয়া পাখি পাচারের উদ্দেশ্যে বর্ধমানের দিকে নিয়ে আসা হচ্ছে। সেই খবরের ভিত্তিতে বর্ধমানের বাজেপ্রতাপপুরে শোলাপুকুর এলাকায় হানা দিয়ে দুটি খাঁচায় প্রায় দেড়শোটির মতো টিয়া পাখি উদ্ধার করেন বন দপ্তরের অফিসাররা। বেআইনিভাবে পাখিগুলিকে বাসে করে বিহার ও ঝাড়খণ্ড থেকে আনা হচ্ছিল বর্ধমানে। অন্যত্র পাচারের উদ্দেশ্য ছিল। তবে এই ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।
বিভাগের বনাধিকারিক সঞ্চিতা শর্মা জানান, হাতে খুব কম সময় ছিল। তার মধ্যেই অফিসাররা অভিযানে বের হন। গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে কয়েকটি জায়গায় নাকা তল্লাশি চালানো হয়। তারই মধ্যে একটি বাসের ডিকি থেকে খাঁচাবন্দি টিয়া পাখিগুলি উদ্ধার করা সম্ভব হয়। তবে পাখিগুলির মালিকানা দাবি করে কেউ এগিয়ে আসেননি। অভিযান চলছে বুঝতে পেরে পাচারের সঙ্গে জড়িতরা গা ঢাকা দেয়। সে কারণে পাখিগুলি উদ্ধার করা গেলেও কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।
Kolkata [Calcutta],Kolkata,West Bengal
August 22, 2025 10:06 PM IST