Last Updated:
সন্ধ্যা নামলেই আলিপুরদুয়ার শহরের প্যারেড গ্রাউন্ডের একটি কোণ হয়ে ওঠে পড়াশুনোর স্থান। শিশুদের কলতানের পাশাপাশি তাঁদের পড়াশুনো শেখার অমোঘ ইচ্ছে, এই একটি কোণের আলোকে দ্বিগুন করে তোলে।এই স্থানেই শিশুদের ভবিষ্যত গড়ে তোলার কাজ করছেন বিমান সরকার নামের এক যুবক।

বিমান ও তার পড়ুয়ারা
আলিপুরদুয়ার: সন্ধ্যা নামলেই আলিপুরদুয়ার শহরের প্যারেড গ্রাউন্ডের একটি কোণ হয়ে ওঠে পড়াশুনোর স্থান। শিশুদের কলতানের পাশাপাশি তাঁদের পড়াশুনো শেখার অমোঘ ইচ্ছে, এই একটি কোণের আলোকে দ্বিগুন করে তোলে। এই স্থানেই শিশুদের ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার কাজ করছেন বিমান সরকার নামের এক যুবক।
শুরু করেছিলেন তিন জন পড়ুয়াদের দিয়ে। এখন বেড়েছে পড়ুয়ার সংখ্যা। প্রাথমিক স্কুলের পড়ুয়ারা বিমান স্যার বলতে অজ্ঞান। এই স্যারের স্বপ্নকে তারা জীবনের মূলমন্ত্র করে নিয়েছে, তা বোঝা যায়। এই শিশুদের লক্ষ্য অনেক পড়াশুনো শেখার। সন্ধ্যা হলেই আলিপুরদুয়ার প্যারেড গ্রাউন্ডে অনেকেই আসেন হাঁটতে, কেউ বা ব্যায়াম করতে।
কিন্তু হঠাৎই চোখে পড়ে এই আলাদা দৃশ্য। বিমান সরকারের এই উদ্যোগকে শহরবাসী নাম দিয়েছে রাতের স্কুল। মূলত যাদের টিউশন নেওয়ার সামর্থ নেই তারাই এই স্কুলের পড়ুয়ারা। মাটিতে গোল হয়ে বসে থাকে শিশুরা,তাঁদের পাঠ দান করেন এই বিমান স্যার। তার শুরুটা হয়েছিল কীভাবে?
এই প্রসঙ্গে বিমান সরকার জানান, প্রতিদিনের মত এক সন্ধ্যায় শরীরচর্চা করতে গিয়েই চোখে পড়ে কয়েকজন শিশুর। স্ট্রিট লাইটের নিচে পড়াশুনো করছে তারা। তাঁদের চোখে ছিল অনেক প্রশ্ন, আর শেখার আগ্রহ। সেই মুহূর্তেই তিনি সিদ্ধান্ত নেন পড়াবেন তাঁদের। যদি একটা আলো জ্বালানো সম্ভব হয়। তিনি জানান, “ওদের আলাদা করে টিউশনে যাওয়ার সামর্থ নেই। কিন্তু ওরা পড়তে চায়। আমি শুধু আমার কর্তব্য টুকু করেছি। শিক্ষার অধিকার সবার। জ্ঞান ভাগ করে নিলে তা কখনও শেষ হয় না।”
প্রথমে বই, খাতা নিজের জমানো টাকায় কিনে আনেন। সন্ধ্যা নামলেই শুরু হয় ক্লাস। শিশুদের বসার জন্য মাদুর, আলো হিসেবে স্ট্রিট লাইট, আর শিক্ষক হিসেবে বিমান স্যার নিজেই থাকেন। সপ্তাহের প্রতিদিন চলে রাতের স্কুল।
Annanya Dey
Kolkata,West Bengal
July 08, 2025 4:07 PM IST