Last Updated:
তবে ‘ঠগস অফ হিন্দোস্তান’ ছবির কাজ কেন তিনি হাতে নিলেন, সেটাই ভক্তদের তাজ্জব করে দিয়েছে। বড়সড় বাজেট এমনকী দুর্ধর্ষ স্টার কাস্ট থাকা সত্ত্বেও এই ছবি ভক্তদের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি।

মুম্বই: এমনিতে ভাল চিত্রনাট্য না হলে তিনি ছবির কাজ হাতে নেন না। আসলে বলিউডে ‘মিস্টার পারফেকশনিস্ট’ নামে সুখ্যাতিও রয়েছে তাঁর। ফলে চিত্রনাট্যে জোর থাকলে তবেই সেই ছবির কাজ হাতে নেন আমির খান। তবে ‘ঠগস অফ হিন্দোস্তান’ ছবির কাজ কেন তিনি হাতে নিলেন, সেটাই ভক্তদের তাজ্জব করে দিয়েছে। বড়সড় বাজেট এমনকী দুর্ধর্ষ স্টার কাস্ট থাকা সত্ত্বেও এই ছবি ভক্তদের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই ছবির সাফল্য না পাওয়ার বিষয়ে খোলাখুলি আলোচনা করেছেন আমির। কাস্টিংয়ের স্ট্রাগল থেকে শুরু করে চিত্রনাট্যের বড়সড় পরিবর্তন – এই সব কিছুর জন্যই তীব্র হতাশা ঘিরে ধরেছিল তাঁকে।
কীভাবে এই ছবির নায়িকা বাছাই করা কঠিন হয়ে উঠেছিল? সেই বিষয়ে The Lallantop-এর সঙ্গে আলাপচারিতায় স্মৃতিচারণ করলেন আমির। আসলে ফতিমা সানা শেখ এই চরিত্রটি পাওয়ার আগে একাধিক প্রথম সারির অভিনেত্রীর কাছে এই চরিত্রটির অফার গিয়েছিল। তবে তাঁরা সেই অফার নাকচ করে দিয়েছিলেন। আমিরের কথায়, “যখন আমরা এর কাস্টিং করছিলাম, তখন কোনও অভিনেত্রীই এই চরিত্রটি করতে রাজি হননি। দীপিকা, আলিয়া, শ্রদ্ধা – সকলেই ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। গোটা ইন্ডাস্ট্রির সকলের কাছে ছবির অফার গিয়েছিল। কিন্তু কেউ তা করতে চাননি।”
চিত্রনাট্যের গুণমানের জন্যই কি তাহলে ছবিটি কাঙ্ক্ষিত সাফল্য পায়নি? এই বিষয়টিও স্বীকার করে নিলেন আমির। এরপর ফতিমাকে তো কাস্ট করা হয়েছিল, কিন্তু তাতেও আর একটা সমস্যার উদ্রেক হল। আর সেটা হল – তাঁদের পর্দার রসায়ন। আসলে ‘দঙ্গল’ ছবিতে আমির খানকে ফতিমার বাবার চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছিল। কিন্তু এই ছবিতে সেই চরিত্র থেকে সোজা প্রেমিকের চরিত্র – সেটা যথেষ্ট কঠিনই ছিল! সেই কারণে রোম্যান্টিক স্টোরিলাইন সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন পরিচালক।
কিন্তু আমির কঠোর ভাবে এর বিরোধিতা করেন। তিনি বলেন যে, “আমি এসবে বিশ্বাস করি না। আমি কি আসলেই ওঁর বাবা হই? আর না তো ওঁর প্রেমিক হই। আমরা ছবি বানাচ্ছি, ভাই। শুধু তা-ই নয়, তিনি উদাহরণ দিয়ে আরও বলেন যে, দর্শকরা এতটাও বোকা নন যে, তাঁরা ভাববেন, আমি ওঁর আসল বাবা। যদি আমরা এমনটা ভাবি, তাহলে আমরা আমাদের দর্শকদের ছোট করব।”
এখানেই শেষ নয়, আমির জানান, ছবিটির মূল ভার্সন অনেকটাই বদলে গিয়েছিল। চিত্রনাট্যেও এত বার বদল এসেছিল যে, শেষে যা দাঁড়িয়েছিল, তা অন্য রকম ঠেকছিল। ছবিটি শেষ হওয়ার পর প্রযোজক আদিত্য চোপড়া তাঁকে কল করে বলেছিলেন যে, “আমি ফার্স্ট কাট দেখেছি। আর এটা দুর্দান্ত ছবি। তুমি যে কী বানিয়েছো, সেই সম্পর্কে তোমার নিজেরও ধারণা নেই।” কিন্তু আমির এই প্রশংসায় স্তম্ভিত হয়েছিলেন। বলেন, “আমি হতবাক ছিলাম। আমি বলেছিলাম যে, আমি বুঝতে পারছি না। প্রথমে ওঁরা ভেবেছিলেন যে, আমি মজা করছি। আমি এ-ও বলেছিলাম যে, এটা একদিনও চলবে না। এখানেই অসম্মতির শেষ হয়নি। প্রত্যেক দিন ওঁদের সঙ্গে এ নিয়ে ঝামেলা হত যে, আমি বলতাম আমরা পুরোটাই ভুল করেছি। কাঠামোর দিক থেকেই এটা ভুল।”
Kolkata [Calcutta],Kolkata,West Bengal
July 03, 2025 1:42 PM IST