Last Updated:
একসময়ের ব্যস্ত মুখগুলো আজ নিস্তব্ধ। পুজো এলেও তাঁদের নেই আর আনন্দ, বরং সংসার চালানো ও সন্তানের জামা কাপড় কেনার অনিশ্চয়তা ঘিরে রেখেছে।

দিঘার সমুদ্র সৈকত
দিঘা, পূর্ব মেদিনীপুর, মদন মাইতি: একসময় দিঘার পর্যটন মানেই ছিল ফটোগ্রাফারদের ভিড়। ভ্রমণের স্মৃতি ধরে রাখতে পর্যটকরা তাঁদের কাছেই ছবি তুলতেন। কিন্তু স্মার্টফোনের যুগে সব পাল্টে গেছে। এখন সবাই নিজেই ছবি তুলে নেন, ফটোগ্রাফারদের আর ডাকেন না কেউ। একসময়ের ব্যস্ত মুখগুলো আজ নিস্তব্ধ। পুজো এলেও তাঁদের নেই আর আনন্দ, বরং সংসার চালানো ও সন্তানের জামা কাপড় কেনার অনিশ্চয়তা ঘিরে রেখেছে। স্মার্টফোনের কড়া প্রতিযোগিতায় দিঘার ঐতিহ্যবাহী ফটোগ্রাফাররা হারিয়ে যেতে বসেছেন।
একটা সময় ছিল যখন দিঘায় ভ্রমণ মানেই সঙ্গে থাকত ফটোগ্রাফাররা। সমুদ্রের ঢেউয়ের পাশে দাঁড়িয়ে পরিবার বা বন্ধুদের ছবি তোলা, সেই ছবিগুলো ফ্রেমে বাঁধিয়ে ঘরে সাজান—সবটাই যেন দিঘা ভ্রমণের এক অমূল্য স্মৃতি ছিল। পুজোর সময় হলে তো কথাই নেই। ভিড় বাড়ত, সঙ্গে ফটোগ্রাফারদেরও রোজগার বাড়ত। অনেকেই অপেক্ষায় থাকতেন, কখন পর্যটকরা ডাকবেন আর হাতে ক্যামেরা নিয়ে ছুটে যাবেন ছবি তুলতে।
সন্তানদের নতুন জামা কাপড় কিনে দেবেন কি না, সংসারের খরচ চালাতে পারবেন কি না—এই অনিশ্চয়তায় দিন কাটে। দিঘার ব্যবসা ও পেশার ইতিহাসে একসময় যাঁরা অপরিহার্য অংশ ছিলেন, সেই ফটোগ্রাফাররা এখন ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছেন। স্মার্টফোনের ক্যামেরা তাঁদের জীবিকার আলো কেড়ে নিয়েছে। সামনে পুজো এলেও আজ তাদের মনে নেই কোনও আনন্দ, নেই কোনও আশা। বরং থেকে গেছে শুধু অনিশ্চয়তা আর দুঃখের ছায়া।
Kolkata [Calcutta],Kolkata,West Bengal
September 06, 2025 1:29 PM IST