ফিক্সিং কাণ্ড: প্রাথমিক রিপোর্ট দেখে কারও নাম প্রকাশ করবে না বিসিবি | চ্যানেল আই অনলাইন

ফিক্সিং কাণ্ড: প্রাথমিক রিপোর্ট দেখে কারও নাম প্রকাশ করবে না বিসিবি | চ্যানেল আই অনলাইন

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) সবশেষ আসর নিয়ে ওঠা স্পট ফিক্সিংকাণ্ড নিয়ে আলোচনা লম্বা সময় ধরে। তদন্ত শেষে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলের হাতে প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দিয়েছে স্বাধীন তদন্ত কমিটি। চূড়ান্ত রিপোর্ট দেয়া হবে আগামী মাসের শেষের দিকে। চূড়ান্ত রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত কোনো অভিযুক্ত ক্রিকেটার, ফ্র্যাঞ্চাইজি কিংবা প্রতিষ্ঠানের নাম প্রকাশ করবে না বিসিবি।

মঙ্গলবার বিবৃতিতে বিষয়টি জানিয়েছে বিসিবি। বলেছে, ‘বিপিএলের একাদশ আসর সংক্রান্ত দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা এবং প্রাতিষ্ঠানিক ব্যর্থতার অভিযোগ খতিয়ে দেখার লক্ষ্যে স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল বিসিবি। সেই কমিটি বোর্ড সভাপতির নিকট প্রাথমিক প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।’

চূড়ান্ত রিপোর্টের আগে কারো নাম প্রকাশ করবে না জানিয়েছে বিসিবি বলেছে, ‘আন্তর্জাতিক মানদণ্ড এবং আইসিসির নির্দেশিকার আলোকে, বিসিবি জোর দিয়ে জানাচ্ছে যে এই প্রতিবেদন যথাযথ গোপনীয়তা বজায় রেখে এবং সঠিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পর্যালোচনা করা হবে। প্রতিবেদনে উল্লেখিত যেকোনো ব্যক্তি বা সংস্থা বিসিবির সংবিধান, আইসিসি দুর্নীতিবিরোধী কোড এবং প্রযোজ্য আইন অনুযায়ী যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ার আওতাভুক্ত থাকবে। এই পর্যায়ে কারও নাম প্রকাশ করা হবে না, যাতে বিচার কার্যক্রমের স্বচ্ছতা এবং সংশ্লিষ্ট সবার অধিকার রক্ষা করা যায়।’

বিসিবি আরও জানিয়েছে, ‘সতর্কতার সঙ্গে কমিটির সুপারিশগুলো পর্যালোচনা করা হবে এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে যথাসময়ে। প্রাথমিক প্রতিবেদনে একাধিক জরুরি সংস্কারমূলক পদক্ষেপের প্রস্তাব রাখা হয়েছে, যা পরবর্তী বিপিএল আসর সুষ্ঠুভাবে আয়োজনের জন্য অত্যাবশ্যক। এসব প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজি ব্যবস্থাপনা, দুর্নীতিবিরোধী নজরদারি, এবং কাঠামোগত সুরক্ষা।’

তাড়াহুড়ো করে বিপিএল আয়োজন করতে গিয়ে তালগোল পাকিয়ে ফেলে বিসিবি। ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক দিতে না পারা, মানসম্পন্ন বিদেশি ক্রিকেটার না থাকার পাশাপাশি মাঠের খেলার বেশ কিছু ঘটনায় স্পট ফিক্সিংয়ের গন্ধও পাওয়া গেছে। অভিযোগ আসতেই সেটা তদন্ত করতে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে তিন সদস্যের স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠন করে বিসিবি।

যেখানে প্রধান দায়িত্বে ছিলেন মির্জা হোসেইন হায়দার। আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতির সঙ্গে কমিটিতে ছিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন আইনজীবী ড. খালেদ এইচ চৌধুরী ও সাবেক ক্রিকেটার শাকিল কাসেম। সবার সঙ্গে কথা বলা শেষে প্রায় তিন হাজার পৃষ্ঠার বেশির একটি প্রাথমিক রিপোর্ট তৈরি করেছেন তারা। চূড়ান্ত রিপোর্ট তৈরির জন্য আরও মাসখানেক সময় পাচ্ছেন স্বাধীন তদন্ত কমিটির সদস্যরা।

Scroll to Top