ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় আইন প্রণেতাদের মাসিক ৩ হাজার ডলারের বেশি আবাসন ভাতা প্রদানের খবরে শিক্ষার্থী ও পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় বিক্ষুব্ধ হাজার হাজার শিক্ষার্থীকে ছত্রভঙ্গ করতে দাঙ্গা পুলিশ কাঁদানে গ্যাস এবং জলকামান ব্যবহার করেছে।
মঙ্গলবার ২৬ আগস্ট আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এই সংহিসতার ঘটনা প্রকাশিত হয়।
সোমবার ইন্দোনেশিয়ার সংসদ ভবনে প্রবেশের চেষ্টা করার সময় কালো পোশাক পরা বিক্ষোভকারীরা দাঙ্গা পুলিশের উপর পাথর ছুঁড়ে এবং আতশবাজি ফাটায়।

প্রতিবাদকারীরা একটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয় বলেও জানা গেছে। তবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ ধরনের ক্ষয়ক্ষতি, হতাহতের ঘটনা বা গ্রেপ্তারের বিষয়ে কোন বিবরণ দেননি।
২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে আইন প্রণেতা প্রতিনিধি পরিষদের ৫৮০ জন সদস্য প্রতি মাসে ৫০ মিলিয়ন রুপিয়াহ ($৩,০৭৫) আবাসন ভাতা পাচ্ছেন বলে সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বিক্ষোভকারীরা ক্ষুব্ধ হয়েছেন।
এই দেশের বেশিরভাগ নাগরিক অর্থনৈতিকভাবে যে কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছেন, তার কারণে তারা ভাতাগুলিকে অন্যায্য বলে মনে করেন। এই দেশের দরিদ্র অঞ্চলে আবাসন ভাতা মাসিক ন্যূনতম মজুরির প্রায় ২০ গুণ বেশি।
গেজায়ান মেমাঙ্গিল নামে বিক্ষোভ সংগঠকদের একজন বলেছেন, যে বিক্ষোভকারীরা সংসদ সদস্যদের বেতন কমানোর দাবি জানাচ্ছেন এবং সরকারের দুর্নীতিগ্রস্ত অভিজাতদের পাশাপাশি সমষ্টিগত ও সামরিক বাহিনীকে সুবিধা প্রদানকারী নীতিমালার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছেন।
এই ঘটনায় টেলিভিশনে কয়েকজনকে জাপানি মাঙ্গা সিরিজ ওয়ান পিসের পতাকা বহন করতে দেখা গেছে, যা দেশে সরকারি নীতিমালার বিরুদ্ধে প্রতিবাদের প্রতীক বলে মনে করা হচ্ছে।
জাকার্তা পুলিশের মুখপাত্র অ্যাডে আরি শ্যাম ইন্দ্রাদি সাংবাদিকদের জানান, ভবনের চারপাশে নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য ১ হাজার ২৫০ জন পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
হাউস স্পিকার পুয়ান মহারাণী বা তার ডেপুটির তাৎক্ষণিকভাবে কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
শনিবার মহারাণী সাংবাদিকদের বলেন, বেতনের পরিমাণ পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিবেচনা করা হয়েছে এবং জাকার্তায় বর্তমান মূল্যের সাথে সামঞ্জস্য করা হয়েছে।
ইন্দোনেশিয়ায় দুর্নীতি মহামারী আকার ধারণ করেছে। কর্মীরা বলছেন যে ২৮ কোটিরও বেশি মানুষের দেশে পুলিশ এবং সংসদ সদস্যদের ব্যাপকভাবে দুর্নীতিগ্রস্ত বলে মনে করা হচ্ছে।