গতকাল সন্ধ্যায় চেউখালী গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, ইটের একটি ঘরের কক্ষে বাবা আবদুল হান্নান দুই সন্তানকে কোলে এবং পাশে নিয়ে বসে আছেন। তিনি সন্তানদের দিকে তাকিয়ে হাউমাউ করে কেঁদে উঠছেন। বাবার কান্না দেখে ফারদিনও মাঝেমধ্যে কেঁদে উঠছে। নিজেকে স্বাভাবিক করার চেষ্টা করেও পারছেন না হান্নান। স্ত্রীর মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর থেকে তিনি নিশ্চুপ।
স্বজনেরা জানান, সড়ক দুর্ঘটনায় শিশু ফারদিনের সামনে তার মা মারা যায়। ফারদিনের শরীরে আঘাত লাগেনি; তবে মানসিকভাবে আঘাত পেয়েছে। ফকরুল সামান্য আঘাত পেয়েছে। খয়মন বেগম অসুস্থ বাবাকে দেখতে পাশের পুঠিয়া উপজেলার পঁচা মাড়িয়া গ্রামে গিয়েছিলেন; সঙ্গে ছিল তাঁর দুই ছেলে। সেখান থেকে তাঁরা ব্যাটারিচালিত ভ্যানে করে বাড়িতে ফিরছিলেন। আসার পথে ভ্যানটিকে ধাক্কা দেয় একটি ট্রাক।