ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (সিপিএল) শুরু থেকে ছন্দে ছিলেন না সাকিব আল হাসান। স্বরূপে ফিরেছেন তিনি। ব্যাট-বলের পারফরম্যান্সে একের পর এক ইতিহাস গড়ে চলেছেন বাংলাদেশের কিংবদন্তি অলরাউন্ডার। টি-টুয়েন্টিতে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ৫০০ উইকেট ও ৭ হাজার রানের ‘ডাবল’ ছুঁয়েছেন। সাকিবের সঙ্গে ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে আছে পরিবারের সদস্যরাও। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিয়মিতই স্ত্রী ও তিন সন্তানের সঙ্গে ছবি পোস্ট করছেন। তার মতে, পরিবার কাছে থাকলে অনেককিছু সহজ হয়ে যায়।
সিপিএলে রোববার অ্যান্টিগা অ্যান্ড বারবুডার হয়ে সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস প্যাট্রিয়টসের বিপক্ষে ম্যাচসেরা হয়েছেন ৩৮ বর্ষী সাকিব। প্রথম ওভারে রিজওয়ানকে ফেরানোর পর পরের ওভারে তুলে নেন আরও দুই উইকেট। ফেরান কাইল মেয়ার্স ও নাভিন বিদাইসিকে। সাকিবের উইকেট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫০২টিতে। ব্যাট হাতে ১৮ বলে করেন ২৫ রান। ম্যাচসেরার পুরস্কারও ওঠে সাকিবের হাতে।
সিপিএলে প্রথম পাঁচ ম্যাচ মিলিয়ে চার ইনিংসে ৫ ওভার বোলিংয়ের সুযোগ পান সাকিব। নিতে পারেন শুধু ১ উইকেট। ক্রমেই বাড়তে থাকে ৫০০ উইকেটের অপেক্ষা। ৫০০ ও ৭ হাজার রানের ‘ডাবল’ স্পর্শ করে সাকিব বলেছেন, ‘এই অর্জনের পেছনে অনেক কঠোর পরিশ্রম রয়েছে। মাইলফলক স্পর্শ করতে পেরে আমি খুব খুশি। লম্বা ক্যারিয়ারে, যা অর্জন করতে পেরেছি, আমি খুশি।’
‘গত কয়েক ম্যাচে বেশি বোলিং করতে পারিনি। তাই কিছুটা নার্ভাস ছিলাম। পাশাপাশি খুব বেশি ওভার বোলিং না পাওয়ায় কিছুটা নেতিবাচকতাও কাজ করছিল। কারণ সাধারণত আমি আরও বেশি বোলিং করি। তবে এটা পুরোটা দলের জন্য। যখনই আমার সুযোগ আসবে, অবদান রাখার চেষ্টা করব।’
‘পরিবার সবসময়ই আমার সঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় যেত। তবে তিন সন্তান নিয়ে, তাদের স্কুলের কারণে কঠিন হয়ে গেছে। তাদের এখন গ্রীষ্মকালীন ছুটি চলছে। তাই এখানে এসে থাকতে পারছে। এটি ভালো ব্যাপার। যখন বয়স বাড়তে থাকে, তখন পরিবার পাশে থাকলে অনেক স্বস্তি কাজ করে।’