নোয়াখালী পৌর এলাকায় স্বামী, শাশুড়ি ও দেবরকে আটকে রেখে এক গৃহবধূকে (১৮) ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে ৭-৮ জন যুবকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত হানিফ (২৯) ও কামরুল (৪৫) নামের দু’জনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয় লোকজন।
রোববার (২৪ আগস্ট) বিকেলে মাইজদী পৌর বাজার এলাকা থেকে তাদের আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
আটকরা হচ্ছেন, জেলার সদর উপজেলার কাদিরহানিফ ইউনিয়নের দরবেশপুর গ্রামের ওলি উল্যার ছেলে হানিফ ও একই ইউনিয়নের বাহাদিপুর গ্রামের আবুল কাশেমেরে ছেলে কামরুল।
ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূ জানান, গত শুক্রবার ভোরে সুবর্ণচর তাদের বাড়ি থেকে পারিবারিক বিষয় নিয়ে রাগ করে বের হয়ে মাইজদী চলে আসেন তার স্বামী। পরে স্বামীর পিছন দিয়ে অন্য একটি গাড়ি নিয়ে মাইজদী পৌর বাজার আসেন তিনি। সকাল ৭টার দিকে তারা দু’জন পৌর বাজারের একটি দোকানের সামনে বির্তকে লিপ্ত হন। এর একপর্যায়ে হানিফসহ দু’জন এগিয়ে এসে ছেলেটি কে জানতে চাইলে তিনি স্বামী বলে তাদের জানান। তারপরও হানিফ’সহ ওই দু’জন তার স্বামীর ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে মারধর শুরু করেন।
এর কিছুক্ষণ পর বিষয়টি সমাধান করে দেওয়ার কথা বলে তাদের দু’জনকে পৌর বাজারের একটি পরিত্যাক্ত ভবনের দ্বিতীয় তলায় নিয়ে যায়। সেখানে হানিফদের সাথে আরও ৪-৫ জন যুক্ত হয়ে স্বামীকে একটি কক্ষে ও স্ত্রীকে আরেকটি কক্ষে নিয়ে যায়। পরে বিষয়টি তার স্বামী মোবাইলে মাইজদী বাসায় থাকা তারা মাকে জানালে তার মা ও ছোট ভাই ঘটনাস্থলে আসে। এসময় দ্বিতীয় তলার সিঁড়ির নিচে থাকা আরও কয়েকজন তার মা ও ছোট ভাইকে একই কক্ষে এনে আটক করে রাখে। পরবর্তীতে তারা পাশের কক্ষে ভুক্তভোগীকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় এবং তার পরনের জামা-কাপড় ছিঁড়ে ফেলে। ধর্ষণের চেষ্টাকারীদের সাথে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে ওই কক্ষ থেকে বের হয়ে নিজের সম্মান বাঁচাতে দ্বিতীয় তলার ছাদ থেকে নিচে লাফ দিয়ে পড়েন তিনি
সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে অভিযুক্তদের আটক করেছে। ভুক্তভোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
ঘটনায় জড়িত অপর আসামীদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান পরিচালনা করছে বলে জানান ওসি।