১২ বছরের সহবাস সম্পর্কে তৃতীয় ব্যক্তির আগমন! লিভ-ইন সঙ্গীর চোখে… রক্তাক্ত পরিণতি রাজপুরে

১২ বছরের সহবাস সম্পর্কে তৃতীয় ব্যক্তির আগমন! লিভ-ইন সঙ্গীর চোখে… রক্তাক্ত পরিণতি রাজপুরে

Last Updated:

প্রায় ১২ বছর ধরে প্রতিমা দাস ও শ্যামল দাস একসঙ্গে বসবাস করছিলেন। তাঁদের মধ্যে বৈবাহিক সম্পর্ক না থাকলেও স্থানীয় মহলে তাঁরা দম্পতি হিসেবেই পরিচিত ছিলেন।

সোনারপুর থানা ১২ বছরের সহবাস সম্পর্কে তৃতীয় ব্যক্তির আগমন! লিভ-ইন সঙ্গীর চোখে… রক্তাক্ত পরিণতি রাজপুরে
সোনারপুর থানা

সোনারপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগণা, অর্পন মন্ডল: রাজপুর সোনারপুর পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে ঘটে গেল রোমহর্ষক ঘটনা। লিভ-ইন সঙ্গীর চোখে ছুরি চালানোর অভিযোগে এক মহিলাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতের নাম প্রতিমা দাস। অভিযোগ, দীর্ঘদিনের সহবাসের সম্পর্কে তৃতীয় ব্যক্তির আগমনের জেরেই এই রক্তাক্ত পরিণতি।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ১২ বছর ধরে প্রতিমা দাস ও শ্যামল দাস একসঙ্গে বসবাস করছিলেন। তাঁদের মধ্যে বৈবাহিক এবং পারিবারিক সম্পর্ক না থাকলেও স্থানীয় মহলে তাঁরা দম্পতি হিসেবেই পরিচিত ছিলেন। তবে সম্প্রতি শ্যামল দাসের সঙ্গে অন্য এক মহিলার ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়। এই সম্পর্কের বিষয়টি জানার পর থেকেই তাঁদের মধ্যে অশান্তি বেড়ে ওঠে।

আরও পড়ুনঃ নিম্নচাপের সঙ্গে অমাবস্যার জোড়া ফলা! সমুদ্রের তাণ্ডবে তছনছ কপিলমুনি আশ্রম! কী পরিস্থিতি গঙ্গাসাগরে?

অভিযোগকারীর বক্তব্য, ওই সম্পর্ককে কেন্দ্র করেই প্রায়শই বাদানুবাদ হত দু’জনের মধ্যে। ঘটনার দিনও বাগবিতণ্ডা চলছিল। সেই সময় আচমকাই প্রতিমা দাস রান্নাঘর থেকে একটি ধারালো ছুরি নিয়ে এসে শ্যামল দাসের চোখে আঘাত করেন। ঘটনাস্থলেই গুরুতর জখম হন শ্যামল। স্থানীয়রা দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। বর্তমানে তিনি সেখানেই চিকিৎসাধীন আছেন। ঘটনার পর শ্যামল দাসের পক্ষ থেকে সোনারপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগের ভিত্তিতেই দ্রুত পদক্ষেপ নেয় পুলিশ এবং প্রতিমা দাসকে গ্রেফতার করে। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনার বিস্তারিত তথ্য জানার চেষ্টা করছে তদন্তকারীরা।

Scroll to Top