পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দারের সাথে বৈঠক শেষে অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, বাংলাদেশ চায় গণহত্যার জন্য পাকিস্তান ক্ষমা চাক।
রোববার (২৪ আগস্ট) বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এগিয়ে নিতে পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে এসব কথা জানান তিনি।
উপদেষ্টা জানান, সফররত পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন সেটি তাদের দিকের অবস্থান। বাংলাদেশ চায় গণহত্যার জন্য পাকিস্তান ক্ষমা চাক, আটকে পড়াদের ফিরিয়ে নিক এবং যুদ্ধের ক্ষতিপূরণ দিক।
তিনি জানান, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে ১টি চুক্তি ও ৫টি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। এছাড়াও পারস্পরিক মর্যাদার ভিত্তিতে সম্পর্ক গড়ে তোলার ব্যপারে আলোচনা হয়েছে এবং অমীমাংসিত ইস্যু নিয়ে কথা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, “পাকিস্তানের সাথে সম্পর্ক গত সময়ে পিছিয়ে রাখা হয়েছিলো। আমরা স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছি।”
দুই দেশের মধ্যে বহুমাত্রিক বাণিজ্যিক ও কুটনৈতিক সম্পর্ক জোরদারে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এছাড়া পাকিস্তানের কাছে ওষুধ রপ্তানি, জ্বালানি বিষয়ক সহায়তাসহ সাফটার অধীনে বাণিজ্য সুবিধা চাওয়া হয়েছে বলেও জানান উপদেষ্টা।
উপদেষ্টা আরও বলেন, “পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে পারস্পারিক সম্মান, মর্যাদা রেখে স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোকে এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছি।”