শুধু তৌসিফই নন, শাকিবের সঙ্গে আড্ডায় ভিন্ন অভিজ্ঞতা হয়েছে জোভানেরও। সেই অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে জোভান বলেন, ‘শাকিব ভাইয়ের সঙ্গে যতটুকু কথা হয়েছে, বুঝেছি তিনি মানুষ হিসেবে নম্র-ভদ্র, অসাধারণ ব্যক্তিত্ব তাঁর। এটাই আমার জীবনে তাঁর সঙ্গে প্রথম দেখা হওয়া ছিল, ভালো লেগেছে।’
২৫ বছরের ক্যারিয়ারের অনেকবারই শাকিব খানকে হতাশ হতে হয়েছে। কাছের মানুষদের কাছ থেকে এই অভিনেতাকে একসময় শুনতে হয়েছে তুচ্ছ কথা। দীর্ঘ ক্যারিয়ারের ২৫ বছর উপলক্ষে এবার মেরিল–প্রথম আলো থেকে সম্মাননা গ্রহণ করে ক্যারিয়ারের বন্ধুর পথের কথা বলেন এই তারকা। সেদিন শাকিব বলেন, ‘এই চলচ্চিত্র (জগৎ) সত্যি অনেক রং দেখাইয়াছে। একসময় যখন সত্যিই খুব হতাশ হয়ে যেতাম। ভাবতাম, সত্যিই হয়তোবা আমাকে দিয়ে আর কিছু হবে না। আপনাদের হয়তো কারও কারও মনে থাকতে পারে, কিছুদিন আগে আমেরিকা থেকে যখন এসেছি কিছু কারণে অনেক কাছের মানুষকেও বলতে শুনেছি, “তোমার দিন শেষ শাকিব, ইউ আর ডেড হর্স।”’
‘প্রিয়তমা’ সিনেমার শুটিংয়ের আগের যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরেন শাকিব খান। তখন নতুন এক অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি। মেরিল–প্রথম আলোর অনুষ্ঠানে সেই প্রসঙ্গে শাকিব আরও বলেছিলেন, ‘তখন নিজের চেনা মুখগুলোকেই পাল্টে যেতে দেখেছি। অবাক হয়েছি, দুঃখিত হয়েছি। ভেবেছি হয়তো এখানেই শেষ। ইতি টানতে হবে। আবার ভেবেছি, যাওয়ার আগে একটা ট্রাই (চেষ্টা) তো করে যাই। এত বছর ধরে মানুষ আমাকে এত ভালোবাসল, একটা ট্রাই করে যাই। না হলে ছেড়ে দেব, ছেড়ে দেব চলচ্চিত্র। শূন্য হাতে এসেছিলাম, যা পেয়েছি তা অনেক।’