গাজার শিশুদের পক্ষে কথা বলার জন্য মেলানিয়া ট্রাম্পকে আহ্বান তুরস্কের ফার্স্ট লেডির – DesheBideshe

গাজার শিশুদের পক্ষে কথা বলার জন্য মেলানিয়া ট্রাম্পকে আহ্বান তুরস্কের ফার্স্ট লেডির – DesheBideshe

গাজার শিশুদের পক্ষে কথা বলার জন্য মেলানিয়া ট্রাম্পকে আহ্বান তুরস্কের ফার্স্ট লেডির – DesheBideshe

আঙ্কারা, ২৩ আগস্ট – যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের স্ত্রী ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্পকে চিঠি লিখেছেন তুরস্কের ফার্স্ট লেডি এমিনে এরদোয়ান। চিঠিতে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে যোগাযোগ করে গাজার শিশুদের দুর্দশার বিষয়টি তুলে ধরার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। মার্কিন ফার্স্ট লেডির কাছে এমিনের এই চিঠি লেখার তথ্য শনিবার জানিয়েছে আঙ্কারা কর্তৃপক্ষ।

চিঠিতে এমিনে এরদোয়ান বলেছেন, চলতি মাসের শুরুর দিকে মেলানিয়া ট্রাম্প রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ইউক্রেন ও রাশিয়ার শিশুদের বিষয়ে যে চিঠি পাঠিয়েছিলেন, সেটি তাকে অনুপ্রাণিত করেছে।

মেলানিয়া ট্রাম্পের কাছে শুক্রবার লেখা ওই চিঠি প্রকাশ করেছে তুরস্কের প্রেসিডেন্টের কার্যালয়। এতে এমিনে এরদোয়ান বলেছেন, ‘‘আমি বিশ্বাস করি, ইউক্রেনের ৬৪৮ শিশুর জন্য যে গুরুত্বপূর্ণ সংবেদনশীলতা আপনি দেখিয়েছেন, তা গাজার জন্যও প্রসারিত হবে।’’

তবে তুরস্কের ফার্স্ট লেডির মার্কিন ফার্স্ট লেডির কাছে লেখা চিঠির বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনও মন্তব্য করেনি হোয়াইট হাউস।

চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘‘এই সময়ে যখন বিশ্ব এক ধরনের সামষ্টিক জাগরণ অনুভব করছে এবং ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টি বৈশ্বিক এক ইচ্ছায় পরিণত হয়েছে, তখন আমি বিশ্বাস করি, গাজার পক্ষে আপনার আহ্বান ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি একটি ঐতিহাসিক দায় পূরণ করবে।’’

শুক্রবার আন্তর্জাতিক ক্ষুধা পর্যবেক্ষণকারী একটি গোষ্ঠী বলেছে, গাজা নগরী ও এর আশপাশের এলাকায় আনুষ্ঠানিকভাবে দুর্ভিক্ষ শুরু হয়েছে। এই দুর্ভিক্ষ আরও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এই সতর্কবার্তার পর ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে আরও বেশি সহায়তা প্রবেশের সুযোগ দিতে ইসরায়েলের ওপর চাপ তৈরি হয়েছে।

তবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এই প্রতিবেদনের তীব্র সমালোচনা করেছেন। তিনি গাজায় দুর্ভিক্ষের অভিযোগকে ‘‘চরম মিথ্যা’’ দাবি করে বলেছেন, অনাহার সৃষ্টি নয়, প্রতিরোধ করাই ইসরায়েলের নীতি।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজার ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী হামাসের সদস্যরা দক্ষিণ ইসরায়েলে ঢুকে ১ হাজার ২০০ মানুষকে হত্যা করেন। একই সঙ্গে ইসরায়েল থেকে প্রায় ২৫০ জনকে ধরে নিয়ে গাজায় জিম্মি করে রাখেন তারা। এই হামলার প্রতিশোধে সেদিনই গাজায় যুদ্ধ শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। এরপর থেকে ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে গাজায় ৬২ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

সূত্র: ঢাকা পোস্ট
এনএন/ ২৩ আগস্ট ২০২৫



Scroll to Top