‘আসল’ জায়গাতেই ‘উন্নয়ন’ অধরা! ১.০৬ কোটির রাস্তার শিলান্যাসে এসে বিক্ষোভের মুখে বিধায়ক, সামাল দিতে না পেরে ছাড়লেন এলাকা

‘আসল’ জায়গাতেই ‘উন্নয়ন’ অধরা! ১.০৬ কোটির রাস্তার শিলান্যাসে এসে বিক্ষোভের মুখে বিধায়ক, সামাল দিতে না পেরে ছাড়লেন এলাকা

Last Updated:

রাস্তা শিলান্যাসের অনুষ্ঠানে তুমুল বিক্ষোভ, উত্তেজনা ছড়াল ধূপগুড়ি ১৫ নং ওয়ার্ডে। রাস্তার শিলান্যাসে এসে বিক্ষোভের মুখে বিধায়ক, সামাল দিতে না পেরে ছাড়লেন এলাকা

বিধায়ক নির্মল চন্দ্র রায়‘আসল’ জায়গাতেই ‘উন্নয়ন’ অধরা! ১.০৬ কোটির রাস্তার শিলান্যাসে এসে বিক্ষোভের মুখে বিধায়ক, সামাল দিতে না পেরে ছাড়লেন এলাকা
বিধায়ক নির্মল চন্দ্র রায়

ধূপগুড়ি, জলপাইগুড়ি, রকি চৌধূরী: রাস্তা শিলান্যাসের অনুষ্ঠানে তুমুল বিক্ষোভ, উত্তেজনা ছড়াল ধূপগুড়ি ১৫ নং ওয়ার্ডে। শুক্রবার দুপুরে ধূপগুড়ি পৌরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের অর্থায়নে নতুন পেভার ব্লক রাস্তা তৈরির কাজের সূচনা করতে এসে বিক্ষোভের মুখে পড়েন তৃণমূল বিধায়ক নির্মল চন্দ্র রায় সহ দলের অন্যান্য নেতারা।

এশিয়ান হাইওয়ে ৪৮ সংলগ্ন ঢাংঢিং ক্লাব থেকে কাদের আলীর বাড়ি পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার রাস্তা দীর্ঘদিন ধরে বেহাল। রাস্তায় পিচের চাদর উঠে গিয়ে তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত। বর্ষাকালে কাদা ও জল জমে যাওয়ায় এলাকাবাসীর যাতায়াত প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। রাস্তা সংস্কারের দাবি দীর্ঘদিনের। কিন্তু শুক্রবার শিলান্যাস হয় পলাশ গুহোর বাড়ি থেকে কাদের আলীর বাড়ি পর্যন্ত মাত্র ১,০০০ মিটার রাস্তার, যার জন্য বরাদ্দ হয়েছে প্রায় ১ কোটি ৬ লক্ষ টাকা। বাকি ৫০০ মিটার রাস্তা প্রকল্পের আওতায় না আনার কারণে ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয়রা।

১০০০ মিটার শিলান্যাসের ঘোষণার পরই বিক্ষোভ শুরু হয়। এলাকাবাসীর অভিযোগ, রাস্তার সবচেয়ে খারাপ অংশটি সংস্কারের বাইরে রেখে মাঝের অংশে কাজ শুরু করা হচ্ছে। জলপাইগুড়ির ওই এলাকার অনেকে বলেন, “রাস্তার সম্পূর্ণ সংস্কার না হলে ভোগান্তি থেকে মুক্তি মিলবে না। আমরা চাই পুরো রাস্তা একবারে তৈরি হোক।”

বিক্ষোভ চলতে থাকায় এলাকায় তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিধায়ক নির্মল চন্দ্র রায় প্রতিশ্রুতি দেন যে ধাপে ধাপে বাকি অংশেরও সংস্কার হবে। কিন্তু ক্ষোভ প্রশমিত না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত বিক্ষোভকারীদের চোখ এড়িয়ে তিনি দ্রুত সেখান থেকে বেরিয়ে যান। এদিনের এই শিলান্যাস অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ধূপগুড়ি পৌরসভার প্রশাসক বোর্ডের সদস্য অরূপ দে, সমাজসেবী আলম রহমান, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের আধিকারিক ও অন্যান্য তৃণমূল নেতারা। যদিও উন্নয়নমূলক এই প্রকল্প এলাকার মানুষের যাতায়াতের সমস্যা কিছুটা লাঘব করবে বলে আশা করা হচ্ছে, তবুও প্রশ্ন রয়ে গেল—কেন রাস্তার সম্পূর্ণ অংশের সংস্কারের জন্য একযোগে পরিকল্পনা নেওয়া হল না!

বাংলা খবর/ খবর/উত্তরবঙ্গ/

‘আসল’ জায়গাতেই ‘উন্নয়ন’ অধরা! ১.০৬ কোটির রাস্তার শিলান্যাসে এসে বিক্ষোভের মুখে বিধায়ক, সামাল দিতে না পেরে ছাড়লেন এলাকা

Scroll to Top