সিপি রাধাকৃষ্ণন এখন মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল। কৈশোর বয়স থেকেই তিনি রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের (আরএসএস) সঙ্গে যুক্ত। সংঘের আদর্শে দীক্ষিত। বিজেপির রাজ্য সভাপতি ছিলেন, লোকসভা সদস্যও হয়েছিলেন দুবার। তুলনায় বি সুদর্শন রেড্ডি অরাজনৈতিক। অন্ধ্র প্রদেশ হাইকোর্টের বিচারপতি ছিলেন তিনি। পরে গুয়াহাটি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি হন। শেষে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি।
রেড্ডিকে প্রার্থী ঘোষণা করে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে আজ মঙ্গলবার বলেন, রেড্ডি সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ন্যায়বিচারের একনিষ্ঠ সাহসী সমর্থক। বিভিন্ন মামলায় দেওয়া তাঁর রায় পড়লে বোঝা যাবে, কীভাবে তিনি দরিদ্র মানুষের পক্ষে থেকেছেন। সংবিধান ও মানুষের মৌলিক অধিকার রক্ষা করেছেন।
সুদর্শন রেড্ডি ‘অরাজনৈতিক’ হলেও খাড়গে জানিয়েছেন, উপরাষ্ট্রপতি পদের লড়াইটা হতে চলেছে দুই বিচারধারার মধ্যে। দুই আদর্শের যুদ্ধ।
রাধাকৃষ্ণনকে প্রার্থী করার মধ্য দিয়ে বিজেপির রাজনীতি খুবই স্পষ্ট। তামিলনাড়ুকে তারা কতটা প্রাধান্য দিচ্ছে, তার একটা প্রচার তারা এর মধ্য দিয়ে করতে চাইছে। আগামী বছর তামিলনাড়ু বিধানসভার ভোট। সেখানে ক্ষমতায় আসার তাগিদও প্রার্থী বাছাইয়ের মধ্য দিয়ে স্পষ্ট। তা ছাড়া তামিল কার্ড খেলে তারা চাইছে ডিএমকের মধ্যে ভাঙন ধরাতে।