Bardhaman: সাধারণ পোশাক, খালি পা…গ্রামের হাটে সবজি বিক্রি করছিলেন তিনি, তাঁর পরিচয় জানলে চমকে উঠবেন

Bardhaman: সাধারণ পোশাক, খালি পা…গ্রামের হাটে সবজি বিক্রি করছিলেন তিনি, তাঁর পরিচয় জানলে চমকে উঠবেন

Last Updated:

Bardhaman: সাধারণ পোশাক, খালি পা…গ্রামের হাটে সবজি বিক্রি করছিলেন তিনি, তাঁর পরিচয় জানলে চমকে উঠবেন। হাটে আর পাঁচজন বিক্রেতার মতোই খদ্দেরের আশায় বসেছেন তিনি। সাধারণ পোশাক, খালি পা। সামনে পটল, লঙ্কা, উচ্ছে, টম্যাটো, বাঁধাকপি

গ্রামের হাটের এই সবজি বিক্রেতাকে চেনেন? পরিচয় জানলে চমকে উঠবেন আপনিBardhaman: সাধারণ পোশাক, খালি পা…গ্রামের হাটে সবজি বিক্রি করছিলেন তিনি, তাঁর পরিচয় জানলে চমকে উঠবেন
গ্রামের হাটের এই সবজি বিক্রেতাকে চেনেন? পরিচয় জানলে চমকে উঠবেন আপনি

বর্ধমান: হাটে আর পাঁচজন বিক্রেতার মতোই খদ্দেরের আশায় বসেছেন তিনি। সাধারণ পোশাক, খালি পা। সামনে পটল, লঙ্কা, উচ্ছে, টম্যাটো, বাঁধাকপি। এই হাটে সবজি বিক্রি করতে আসে কৃষকদের অনেকেই। আপাত দৃষ্টিতে আর পাঁচজনের সঙ্গে তাঁকে আলাদা করার কোনও উপায় নেই। কিন্তু তাঁর পরিচয় জানলে চমকে উঠবেন। চেনেন হাটের মাঝে পসা সাজানো এই ব্যক্তিকে?

হাটের মাঝে সবজি বিক্রি করতে বসা ব্যক্তি দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থা ‘এসবিএসটিসি’র চেয়ারম্যান সুভাষ মণ্ডল। তিনি প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক। ভাতার কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন। পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের জঙ্গলমহলের বননবগ্রাম হাটে তাঁকে সবজি বিক্রি করতে দেখে অবাক হন  অনেকেই। অনেকেই প্রাক্তন বিধায়ক, ‘এসবিএসটিসি’র চেয়ারম্যানকে সবজি বিক্রি করতে দেখে এগিয়ে এসে কুশল বিনিময় করেন। দিনের শেষে সুভাষ মণ্ডলের বিক্রি হল দু’হাজার টাকার।

হাটের মাঝে প্রাক্তন বিধায়ককে সবজি বিক্রি করতে দেখে অবাক হন অনেকেই। কিন্তু এতে অবাক হওয়ার মতো কিছু নেই বলেই মনে করছেন প্রাক্তন বিধায়ক সুভাষ মণ্ডল। তিনি বলেন, আমাদের পারিবারিক কৃষি জমি রয়েছে। চাষের সময় মাথায় গামছা বেঁধে কৃষি শ্রমিকদের সঙ্গে কাজে নামি। এতে তাঁরাও বাড়তি উৎসাহ পান। জমিতে সবজি চাষ হয়। কম খরচে বেশি উৎপাদনের লক্ষ্য থাকে। সেই উৎপাদিত ফসল নিয়েই হাটে বসেছিলাম।

তিনি বলেন, রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর কৃষি ও কৃষকদের প্রভূত উন্নতি হচ্ছে। কৃষক বন্ধু প্রকল্প চালু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি ক্ষমতায় আসার পর থেকেই সহায়ক মূল্যে ধান কেনার বিষয়ে জোর দেন। তার সুবিধা পাচ্ছেন রাজ্যের কৃষকরা। তাঁদের আর মহাজনদের মুখাপেক্ষি হয়ে থাকতে হচ্ছে না। অভাবি বিক্রি বন্ধ হয়েছে। রাজ্য সরকার এ’বছরও কৃষকদের কাছ থেকে আলু কিনেছে। ‘সুফল বাংলা’র স্টলে ন্যায্য মূল্যে সবজি ও কৃষিজাত সামগ্রী বিক্রি হচ্ছে। সব মিলিয়ে এ’রাজ্যে কৃষি একটা শিল্পে পরিণত হয়েছে। সে কারণে আমি অন্যান্য কৃষকদের মতো চাষ করার ব্যাপারে বাড়তি উৎসাহ পাচ্ছি।

Scroll to Top