ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় পাকিস্তান, ভারত-শাসিত কাশ্মীর এবং নেপালের বিভিন্ন অংশে ৪০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। এখনও বহু মানুষ নিখোঁজ রয়েছে।
রোববার (১৭ আগস্ট) মার্কিন সংবাদ মাধ্যম সিএনএন-এর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তান, ভারত-শাসিত কাশ্মীর এবং নেপালে মুষলধারে বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় পাকিস্তানে ৪০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। এখনও অনেকে নিখোঁজ রয়েছেন। বন্যায় পুরো একটি গ্রাম নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে।
এতে আরও বলা হয়, উত্তর-পশ্চিম পাকিস্তানে, খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের বুনের জেলার দশটিরও বেশি গ্রাম আকস্মিক বন্যায় বিধ্বস্ত হয়ে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কমপক্ষে ৩২১ জন প্রাণ হারিয়েছেন। ভেসে যাওয়া রাস্তাঘাট এবং ভূমিধসের ফলে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এছাড়াও ধ্বংসস্তূপের নিচে কয়েক ডজন চাপা পড়ে আছে বলে উদ্ধারকারী কর্মকর্তারা আশঙ্কা করছেন।এখন পর্যন্ত এই এলাকা থেকে ১২০ জনেরও বেশি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
প্রাদেশিক কর্তৃপক্ষের মতে, খাইবার পাখতুনখোয়ায় একটি উদ্ধার হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হওয়ার ফলে ত্রাণ প্রচেষ্টাও বড় ধরনের বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছে, যেখানে পাঁচজন ক্রু সদস্য নিহত হয়েছেন।
রয়টার্স জানিয়েছে, ভারত-শাসিত কাশ্মীরে সীমান্তের ওপারে, জনপ্রিয় তীর্থস্থান চাশোটিতে কমপক্ষে ৬০ জন মারা গেছেন এবং ২০০ জনেরও বেশি নিখোঁজ রয়েছেন। নেপালে বন্যা ও ভূমিধসের ফলে কমপক্ষে ৪১ জন নিহত এবং ১২১ জন আহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছেন কর্মকর্তারা।
পাকিস্তানের কর্তৃপক্ষ বলছে, রোববার থেকে বৃষ্টিপাত আরও তীব্র হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে, যা আরও আকস্মিক বন্যা এবং নগর বন্যার আশঙ্কা বাড়িয়েছে।
ভারতের আবহাওয়াবিদরা মেঘভাঙনে ১০০ মিলিমিটারেরও বেশি বৃষ্টিপাতকে দায়ী করেছেন। বিশেষজ্ঞরা আরও সতর্ক করেছেন, ক্রমবর্ধমান জলবায়ু সংকট হিমালয় জুড়ে মৌসুমি বৃষ্টিপাত এবং বন্যাকে তীব্রতর করছে।