উচ্ছৃঙ্খল জনতার সংঘবদ্ধ আক্রমণ বা মব নিয়ে সাম্প্রতিক সময়গুলোতে সবচেয়ে বেশি উদ্বেগ দেখা গেছে। পুলিশও বিভিন্ন সময়ে সংঘবদ্ধ আক্রমণের শিকার হয়েছে।
পুলিশ সদর দপ্তর সূত্র জানায়, গত এক বছরে পুলিশের ওপর হামলা ও মারধরের ঘটনায় ৫৬০টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মব সৃষ্টি করে পুলিশের ওপর অন্তত ২২৫টি হামলার ঘটনা ঘটেছে।
বেসরকারি মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) বলছে, মব সন্ত্রাস ও গণপিটুনির শিকার হয়ে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ১০ আগস্ট পর্যন্ত—প্রায় ৮ মাসে সারা দেশে ১১১ জন নিহত হয়েছেন। গত সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আসক বলেছে, বিচারহীনতার সংস্কৃতি সামাজিক সম্প্রীতি ও আইনের শাসনের জন্য গভীর উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
গত ৪ মার্চ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, মবের প্রতিটি ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় এনে বিচার করতে সরকার বদ্ধপরিকর। কেউ যাতে আইন নিজ হাতে তুলে না নেয়, সে জন্য সবাইকে সতর্ক করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
তবে এই সতর্কতার পরও মব সৃষ্টি করে বেশ কিছু অপরাধ সংঘটনের ঘটনা দেখা যায়। গত ১৭ জুলাই আওয়ামী লীগের (বর্তমানে কার্যক্রম নিষিদ্ধ) আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আহমেদের বাসায় গিয়ে মব সৃষ্টি করে ভয়ভীতি দেখিয়ে ১০ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করা হয়। বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের কেন্দ্রীয় সদস্য আবদুর রাজ্জাক বিন সুলাইমান ওরফে রিয়াদসহ কয়েকজন এই টাকা নিয়ে আরও ৫০ লাখ চাঁদা দাবি করেছিলেন। দ্বিতীয় দফা টাকা আনতে গেলে পুলিশ তাঁদের গ্রেপ্তার করে।