Last Updated:
ভুয়ো ভোটার থাকার ঘটনায় চার সরকারি আধিকারিককে সাসপেন্ডের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন. রাজ্য মানবে না বলে জানিয়েছে. ১লা সেপ্টেম্বর থেকে ভোটার কার্ড স্পিড পোস্টে পাঠানোর নিয়ম কার্যকর.

ভোটার তালিকায় ভুয়ো ভোটার থাকার ঘটনায় চার সরকারি আধিকারিককে সাসপেন্ডের নির্দেশ জাতীয় নির্বাচন কমিশনের। সূত্রের খবর সেই নির্দেশ মানবে না বলে জানিয়েছে রাজ্য।
কমিশনের ব্যাখ্যা, ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ সারা বছর হতে পারে। এর সঙ্গে নির্বাচনের কোনও সম্পর্ক নেই। যখন ভোটার তালিকা সংযোজন বা সংশোধনের কাজ হয় তখন জাতীয় নির্বাচন কমিশনের অধীনে থেকেই কাজ করতে হয়। তার দায়বদ্ধতা নির্বাচন কমিশন এর উপর থাকে। সংবিধান ৩২৪ বলছে ভোটার তালিকা তৈরি করা ও নির্বাচন সংগঠিত করা। সেই কাজে লোক দিতে বাধ্য রাজ্য। জবাব দিতে বাধ্য মুখ্য সচিব। এক্ষেত্রে জবাবে সন্তুষ্ট না হলে বা কোন ব্যাখ্যা না পেলে তার বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ করতে পারে কমিশন। এমন আইন নেই নির্বাচন ঘোষনা করলে তবেই কমিশনের ক্ষমতা থাকবে। কমিশন আর ERO এর মাঝে আর কেউ নেই। এমনটাই ব্যাখ্যা কমিশনের।
কয়েকটি বিধানসভায় ভুয়ো ভোটারের অস্তিত্ব মিলেছে। এবার তার জেরে বাড়িতে বাড়িতে ভোটার কার্ড পাঠানোই নিয়ম বদল করল রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর। এবার থেকে ডাক বিভাগের কেন্দ্রীয় অফিস অর্থাৎ, জিপিও থেকে সরাসরি স্পিড পোস্টে এপিক কার্ড চলে যাবে ভোটারের বাড়িতে। নিয়ম অনুযায়ী, কোনও নাম ভোটার তালিকায় ওঠার সঙ্গে সঙ্গে ইলেকটোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার তার এপিক কার্ড করার জন্য জেলা নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে পাঠান। সেখান থেকে সরস্বতী প্রেসে তা ছাপতে যায়। সরস্বতী প্রেস সেই কার্ড ছাপিয়ে সরাসরি জেলা নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে পাঠায়। এখান থেকে যায় electoral registration officer-এর (ERO) কাছে। এরপর ERO স্পিড পোস্টে তা ভোটারের বাড়ি পৌঁছে দেন। এবার সেই নিয়ম বদল করছে সিইও দফতর। এবার থেকে সরস্বতী প্রেসে ছাপার পর সরাসরি ডাক বিভাগের মাধ্যমে ভোটারের বাড়ি চলে যাবে এপিক কার্ড। ১লা সেপ্টেম্বর থেকে এই নিয়ম কার্যকর হচ্ছে।
Kolkata [Calcutta],Kolkata,West Bengal
August 06, 2025 5:30 PM IST