বছরের পর বছর কঠোর পরিশ্রম ও নিষ্ঠার মাধ্যমে ব্রি লারসন হলিউডে নিজের অবস্থান তৈরি করেছেন। তবে আপনি কি জানেন, তিনি তার প্রকল্পগুলো থেকে ঠিক কত আয় করেন?
ছোট বাজেটের সিনেমা থেকে শুরু করে ক্যাপ্টেন মার্ভেল ও অ্যাভেঞ্জার্স:এন্ডগেম-এর মতো বিশাল স্টুডিও প্রোডাকশনে অভিনয় করে ব্রি লারসন এক দশকেরও বেশি সময় ধরে সিনেমা দুনিয়ায় নিজের সুনাম গড়ে তুলেছেন। ২০১৫ সালে ‘রুম’ সিনেমার জন্য অস্কার জেতার পর তার ক্যারিয়ারে আসে বড় মোড়।
অথচ ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে তিনি ছোটখাটো চরিত্রে অভিনয় করতেন, বিশেষ করে ইন্ডি সিনেমায়। এক সময় ‘ম্যারি ক্ল্যারি ইউকে’-কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “প্রায় দুই বছর আগ পর্যন্ত আমি কোনো বাড়তি অর্থের মুখ দেখিনি। অর্থের অভাব থাকায় তা আমাকে সবসময় আতঙ্কিত করত।”
‘রুম’ ছিল সেই সিনেমা, যা তাকে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক খ্যাতি এনে দেয়। যদিও সিনেমাটির বাজেট ছিল মাত্র ১৩ মিলিয়ন ডলার! তবুও এটি বিশ্বজুড়ে ৩৫ মিলিয়নের বেশি আয় করে। ধারণা করা হয়, এই সিনেমা থেকে ব্রি লারসনের উপার্জন ছিল ছয় অঙ্কের মাঝামাঝি বা তার চেয়ে কিছু বেশি!
এর পরই আসে তার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় ব্রেক— ক্যাপ্টেন মার্ভেল! ২০১৯ সালে মুক্তি পাওয়া এই সিনেমার জন্য তিনি প্রায় ৫ মিলিয়ন ডলার পারিশ্রমিক পান, যা ছিল সে সময়ের অন্যতম উচ্চ পারিশ্রমিক। ক্যাপ্টেন মার্ভেল ছিল প্রথম মহিলা নেতৃত্বাধীন সুপারহিরো সিনেমা, যা ১ বিলিয়নের বেশি আয় করেছিল!
অ্যাভেঞ্জার্স:এন্ডগেম সিনেমাতেও তিনি ক্যাপ্টেন মার্ভেল চরিত্রে অভিনয় করেন। যদিও এখানে তার উপস্থিতি ছিল সংক্ষিপ্ত, তবে সিনেমাটি বিশ্বব্যাপী ২.৮ বিলিয়নের বেশি আয় করেছিল। ফলে এখানে তার পারিশ্রমিকও কম ছিল না।
২০২৩ সালে ‘দ্য মার্ভেলস’ সিনেমায় আবারও ফিরে আসেন তিনি। যদিও কিছু প্রতিবেদন অনুযায়ী তিনি ১৫ মিলিয়ন ডলার পেতে পারেন বলে দাবি করা হয়, শোবিজ গ্যালোরে-এর মতে, তিনি আগের মতোই ৫ মিলিয়ন ডলার পান!
২০১৯ সালে ব্রি লারসন ক্যালিফোর্নিয়ার মালিবুতে ৩.৪ মিলিয়ন ডলারে একটি বাড়ি কেনেন এবং উডল্যান্ড হিলসs-এ আরও একটি ১.৬ মিলিয়ন ডলারের সম্পত্তি কেনেন। একই বছর তিনি ২.১৭ মিলিয়নে একটি বাড়ি বিক্রি করেন, যা তিনি কিনেছিলেন ২.২৫ মিলিয়নে। এছাড়া ২০২০ সালে তিনি স্টুডিও সিটি-তে তার পুরনো বাড়ি ১.৪ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি করেন।
প্যারাড-এর একটি প্রতিবেদনের মতে ২০২৫ সাল নাগাদ ব্রি লারসনের মোট সম্পদের পরিমাণ প্রায় ২৫ মিলিয়ন ডলার! –কইমই