আদালত তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে রায় দিয়েছেন। পঞ্চদশ সংশোধনীকে অসাংবিধানিক বলে ঘোষণা করেছেন। কিন্তু কীভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়োগ হবে, এটাও একটা মৌলিক সংস্কারের বিষয়। যাতে যোগ্য ব্যক্তিরা ওই পদে অধিষ্ঠিত হয়ে আবারও আগের মতো ভোটের অধিকার ধ্বংস করতে না পারে। সে ব্যাপারে আমরা ঐকমত্যে পৌঁছেছি।
জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেওয়া, বিচার বিভাগের বিকেন্দ্রীকরণ, উপজেলা পর্যায়ে স্থানীয় নিম্ন আদালতের সম্প্রসারণ, সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ, অর্থ বিল আর অনাস্থা প্রস্তাবে গোপন ভোট দেওয়াসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক সংস্কার হয়েছে।
তবে কিছু ক্ষেত্রে কিছুটা অপূর্ণতা রয়ে গেছে। যেমন নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের ব্যাপারে যতটুকু অর্জন করতে চেয়েছিলাম, ততটুকু পারিনি। তবু আমরা মনে করি, একটা গুরুত্বপূর্ণ যাত্রা শুরু হলো।
প্রবাদ আছে, ‘পুডিং কতটা সুস্বাদু বা ভালো হয়েছে, তা জানতে হলে খেয়ে দেখতে হবে।’ সংস্কারের সার্থকতা নির্ভর করবে বাস্তবায়নের ওপর। আমার বিশ্বাস, রাজনৈতিক দলগুলো প্রজ্ঞা এবং সাহসিকতার পরিচয় দেবে। ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের রক্তের সঙ্গে আমরা যেন বিশ্বাসঘাতকতা না করি।
বদিউল আলম মজুমদার, সদস্য, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন
(মতামত লেখকের নিজস্ব)