Last Updated:
Weekend Trip: মল্ল রাজধানী বিষ্ণুপুরে ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন রকমের টেরাকোটার মন্দির রয়েছে। তবে এখন সেই মন্দির গুলিকে আপনি সঙ্গে নিয়ে যেতে পারবেন স্মৃতি হিসেবে!আসলে শহরেই তৈরি হচ্ছে ওই সব মন্দির হস্ত শিল্প হিসেবে।

News18
বিষ্ণুপুর: মল্ল রাজধানী বিষ্ণুপুরে ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন রকমের টেরাকোটার মন্দির হয়েছে। তবে এখন সেই মন্দির গুলিকে আপনি সঙ্গে নিয়েই ঘুরতে পারবেন! বিষ্ণুপুরের বিখ্যাত এই টেরাকোটার মন্দির গুলিকে আপনারা অনেকেই দেখেছেন। স্মৃতি হিসেবে হয়ত অনেকেই ফটো তুলে নিয়ে আসছেন নিজের বাড়িতে! তবে এখন সেই মন্দির গুলিকে আপনারা নিয়ে ঘুরতে পারবেন অথবা নিজের বাড়িতে সাজিয়েও রাখতে পারবেন। এমনকি এই মন্দিরগুলি আপনার আত্মীয়-স্বজন বা বন্ধু-বান্ধবদের গিফট হিসাবে দিতে পারবেন।
বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুর পৌর শহর এলাকার মধ্যেই আপনি পেয়ে যাবেন এই মন্দিরগুলি। তবে সেটা কেমন বা কী দিয়ে তৈরি অথবা কত বড়? আসলে বিষ্ণুপুরে মল্ল রাজাদের আমলে বানান বিখ্যাত টেরাকোটার তৈরি বেশ কিছু মন্দির রয়েছে। অবিকল সেই মন্দিরের আদলেই মাটি দিয়ে বানানো হচ্ছে ছয় থেকে আট ইঞ্চির এই মন্দিরগুলি। সেগুলি ওজনেও খুব হালকা। বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুর পৌর শহরের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের বোলতলা, গোয়ালা পাড়া গলির বাসিন্দা শ্রীদাম চন্দ্র দে একজন মৃৎশিল্পী।
বাঙালির বিভিন্ন পুজোর আগে প্রতিমা গড়ার কাজে তিনি ব্যস্ত থাকেন। তবে সারা বছর তিনি কী করবেন? সেই কথা ভাবতে ভাবতে হঠাৎ ১০-১২ বছর আগে তার মাথায় আসে যে বিষ্ণুপুরের বিখ্যাত টেরাকোটার বেশকিছু মন্দির রয়েছে। তবে সেগুলি যদি ছোট ছোট মাটির বানান যায় তাহলে কেমন হবে। সেই থেকেই তিনি শুরু করেছেন এই কাজ। কাঁচা মাটি কে প্রস্তুত করে, তিন থেকে চার দিন অথবা পাঁচ দিনের পরিশ্রমে তৈরি হচ্ছে জোড় বাংলা মন্দির, রাস মঞ্চ ও পাঁচ চুড়া মন্দির।
শ্রীদাম চন্দ্র বাবুর বানান এই মন্দিরগুলি এখন পাড়ি দিচ্ছে জেলা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ছাড়াও এলাকার মানুষও খুব খুশি কারণ তারা তাদের প্রিয় টেরাকোটার মন্দিরগুলি নিজেদের হাতে পাচ্ছেন। সেগুলি তারা নিয়ে গিয়ে বাড়িতে সাজাচ্ছেন অথবা গিফট হিসেবেও দিচ্ছেন প্রিয়জনদের। বিষ্ণুপুর গেলে আপনারাও নিয়ে আসতেই পারেন এই মন্দিরগুলি।
অনিকেত বাউরী
Kolkata,West Bengal
August 02, 2025 11:30 PM IST