ট্রাকচালকের প্রেমে পড়ে ছেড়েছিলেন ঘর, পালিয়ে মন্দিরে বিয়েও করেছিলেন ! এখন মহাবিপাকে পড়ে পুলিশের দ্বারস্থ নবদম্পতি

ট্রাকচালকের প্রেমে পড়ে ছেড়েছিলেন ঘর, পালিয়ে মন্দিরে বিয়েও করেছিলেন ! এখন মহাবিপাকে পড়ে পুলিশের দ্বারস্থ নবদম্পতি

Last Updated:

Unique Love Story : আসলে সেখানে এক ট্রাকচালকের প্রেমে পড়েছেন বছর উনিশের এক তরুণী। আর প্রেমের ফুল ফুটলেও বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। 

ট্রাকচালকের প্রেমে পড়ে ছেড়েছিলেন ঘর, পালিয়ে মন্দিরে বিয়েও করেছিলেন ! ট্রাকচালকের প্রেমে পড়ে ছেড়েছিলেন ঘর, পালিয়ে মন্দিরে বিয়েও করেছিলেন ! এখন মহাবিপাকে পড়ে পুলিশের দ্বারস্থ নবদম্পতি
ট্রাকচালকের প্রেমে পড়ে ছেড়েছিলেন ঘর, পালিয়ে মন্দিরে বিয়েও করেছিলেন !

Report: Manoj Kumar Sharma

চুরু, রাজস্থান: হামেশাই নানা ধরনের সত্যিকার প্রেমের গল্প ছড়ায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেরকমই রাজস্থানের চুরু জেলা থেকে এক আজব প্রেমকাহিনি প্রকাশ্যে এসেছে। আসলে সেখানে এক ট্রাকচালকের প্রেমে পড়েছেন বছর উনিশের এক তরুণী। আর প্রেমের ফুল ফুটলেও বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। এই ঘটনায় বিরক্ত হয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে বিয়ে করে নিয়েছেন ওই যুগল। কিন্তু সমস্যা কিছুতেই তাঁদের পিছু ছাড়ছে না। সামাজিক এবং পারিবারিক মতবিরোধের মধ্যেই বিয়ে হওয়ায় ব্যাপক ঝামেলার সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু নিজের ভালবাসার জন্য সমগ্র দুনিয়ার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে প্রস্তুত ওই তরুণী। সমস্যার মুখোমুখি হতে সঙ্গীর হাত ধরে মেয়েটি আপাতত পুলিশ সুপারিন্টেন্ডেন্টের কাছে সাহায্যের আশায় পৌঁছেছেন।

সূত্রের খবর, চুরুর তারানগর তেহসিলের গোগাটিয়া গ্রামের বাসিন্দা ১৯ বছর বয়সী তরুণী রেখাকুমারী প্রজাপত। বছর দুয়েক আগে চুরুর বিএসটিসি-তে পড়াশোনা করছিলেন তিনি। আর সেখানেই ৩০ বছর বয়সী যুবক কানহাইয়ালাল শর্মার সঙ্গে তাঁর আলাপ। পেশায় গাড়ির চালক কানহাইয়ালাল। তিনি দশম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। সেই সময় চুরুতে একটি বেসরকারি স্কুলের ভ্যান চালাতেন কানহাইয়ালাল। আর আলাপ হওয়ার পরে কথাবার্তা শুরু হয় রেখা আর কানহাইয়ালালের মধ্যে। সেখান থেকেই তাঁদের বন্ধুত্বের সূত্রপাত।

সাক্ষাৎই প্রেমের রূপ নেয়:

প্রায় আড়াই বছরের বন্ধুত্ব ধীরে ধীরে প্রেমের রূপ নেয়। রেখা জানান যে, তিনি মাস ছয়েক আগে এই কথা পরিবারকে জানিয়েছিলেন। তবে এই সম্পর্ক মানতে নারাজ ছিল তাঁর পরিবার। রেখার অভিযোগ, সবটা জানাজানি হওয়ার পরে তাঁকে মারধর পর্যন্ত করেছিল বাড়ির লোকেরা। এমনকী ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছিল তাঁর মোবাইলটিও। কানহাইয়ালালের সঙ্গে সম্পর্ক না রাখার জন্য চাপও দেওয়া হচ্ছিল।

অন্যত্র বিয়ের জন্য চাপ:

রেখার দাবি, তাঁকে জোর করে অন্যত্র বিয়ে দিয়ে দেওয়া হতে পারে বলে আশঙ্কা ছিল তাঁর। সেই কারণেই মঙ্গলবার তিনি ঘর ছেড়ে কানহাইয়ালালের কাছে চলে যান। এরপর তাঁরা দু’জনে মন্দিরে গিয়ে বিয়ে করে নেন। আর এই বিয়ের খবর জানাজানি হতেই রেখার পরিবারের লোকেরা ঝামেলা শুরু করে। রেখা ও কানহাইয়ালাল বলেন যে, তাঁরা কোনও চাপে পড়ে নয়, বরং পারস্পরিক সম্মতিতেই বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

নিজের মা-বাবার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে অস্বীকার:

রেখা বলেন যে, আপাতত তিনি নিজের মা-বাবার সঙ্গে দেখা করতে চাইছেন না। কারণ তাঁদের থেকে ভয় রয়েছে। এমনকী নথিপত্র ছাড়া তিনি আর বাড়ি থেকে কিছু নিয়ে বেরোননি। নববিবাহিত দম্পতির এখন প্রার্থনা, তাঁরা এখন শান্তিপূর্ণ একটা জীবন চান। কোনও রকম ঝামেলা তাঁরা চাইছেন না। এদিকে দুই পরিবারের মধ্যেই এই বিয়ের জেরে একটা অশান্তি এবং উদ্বেগের আবহ তৈরি হয়েছে। দু’তরফেই পুলিশি নিরাপত্তার দাবি জানানো হয়েছে। যদিও এখনও কোনও আইনি অভিযোগ জমা করেনি কোনও পরিবারই।

বাংলা খবর/ খবর/দেশ/

ট্রাকচালকের প্রেমে পড়ে ছেড়েছিলেন ঘর, পালিয়ে মন্দিরে বিয়েও করেছিলেন ! এখন মহাবিপাকে পড়ে পুলিশের দ্বারস্থ নবদম্পতি

Scroll to Top