নিজ অর্থায়নে বলসহ অন্যান্য সরঞ্জাম কিনে শুরু হলো অনুশীলন। একই সঙ্গে শুরু হলো কিছু লোকের তিরস্কার। মেয়েরা ফুটবল খেলছে শুনে যেন কেউ কেউ আকাশ থেকে পড়লেন। নানাজন নানা কথা ছড়াতে শুরু করল। কিন্তু থামলেন না তাজুল, সুগা মুরমু ও জয়নুল। এই না থামাই তাঁদের ও রাঙাটুঙ্গী ফুটবল একাডেমিকে নিয়ে গেছে স্বপ্নের চূড়ায়।
মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় সাফল্যের দেখা পেলেন তাজুল। আন্তস্কুল ফুটবল প্রতিযোগিতা, জেলা, উপজেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে বিভিন্ন টুর্নামেন্টে একাডেমির শিক্ষার্থীরা ভালো করতে লাগল। ২০১৬ সালে প্রথমবারের মতো জাতীয় দলে সুযোগ পেলেন একাডেমির সদস্য মুন্নি আক্তার। এরপর সোহাগী, স্বপ্না রানী, সাগরিকা, কোহাতি, কাকলী, অনন্যা মুরমু। সব মিলিয়ে একাডেমি থেকে বর্তমানে জাতীয় দলসহ বয়সভিত্তিক বিভিন্ন দলে, লিগে খেলছেন ২৩ জন। তাঁদের দেখে উৎসাহ বেড়েছে অন্যদের। এমনকি অভিভাবকেরাও তাঁদের সন্তানদের নিজ উদ্যোগে পাঠাচ্ছেন একাডেমিতে।