অভিনব উদ্যোগ! ব্লক প্রশাসনের চেষ্টায় অপচনশীল প্লাস্টিকের দামেই মিলছে পচনশীল প্লাস্টিক! 

অভিনব উদ্যোগ! ব্লক প্রশাসনের চেষ্টায় অপচনশীল প্লাস্টিকের দামেই মিলছে পচনশীল প্লাস্টিক! 

Last Updated:

আর নয় নিষিদ্ধ প্লাস্টিক ব্যবহার, ব্যবসায়ীদের নয়া চমক দিলেন দুর্গাপুর – ফরিদপুর ব্লক প্রশাসন!

+

অভিনব উদ্যোগ! ব্লক প্রশাসনের চেষ্টায় অপচনশীল প্লাস্টিকের দামেই মিলছে পচনশীল প্লাস্টিক! 

পচনশীল প্লাস্টিক বিতরণ

দীপিকা সরকার, পশ্চিম বর্ধমান, দুর্গাপুর : পরিবেশ রক্ষায় প্লাস্টিক দূষণ রুখতে বহুবছর আগেই ৭৫ মাইক্রনের নিচে প্লাস্টিক ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল প্রশাসন। কিন্তু ৭৫ মাইক্রনের প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ যথেষ্ট ব্যয়বহুল।ফলে নিষেধাজ্ঞা থাকার সত্ত্বেও ব্যাবসায়ীরা নিষিদ্ধ প্লাস্টিক ব্যবহার করেই চলেছিল।বাজারে বাজারে নিষিদ্ধ প্লাস্টিক নিয়ে বহু অভিযান চালান হয়।অভিযান স্বরুপ নিষিদ্ধ প্লাস্টিক ব্যবহার সাময়িক ভাবে  বন্ধ হলেও ফের রমরমিয়ে এর ব্যবহার শুরু হয়ে যায়।  দুর্গাপুর – ফরিদপুর ব্লক প্রশাসন ও পঞ্চায়েত সমিতির কর্তারা ব্যবসায়ীদের সচেতন করতে গিয়ে ব্যবসায়ীদের সমস্যা জানতে পারেন।

সেই মত ব্লক প্রশাসন নিজেই স্বল্প মূল্যের বিনিময়ে পচনশীল প্লাস্টিক ব্যবসায়ীদের সরবরাহ করার উদ্যোগ নেয়।শুরু হয় নিষিদ্ধ প্লাস্টিকের প্রায় সমমূল্যে বায়োডিগ্রেডেবল (পচনশীল) প্লাস্টিক বিতরণ। পাশাপাশি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের মাধ্যমে বাজার হাটে ব্যবসায়ীদের কাছে সামান্য অর্থের বিনিময়ে পচনশীল প্লাস্টিক সরবরাহ করা হবে সারাবছর। এর পরেও যদি কোনও ব্যবসায়ী নিষিদ্ধ প্লাস্টিক ব্যবহার করেন তাহলে জরিমানা করা হবে বলে কড়া বার্তা দিয়েছে ব্লক প্রশাসন। ব্যবসায়ীদের দাবি, পচনশীল প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগের মূল্য বেশি হওয়ায় তাঁরা নিষিদ্ধ প্লাস্টিক ক্রেতাদের দিতে বাধ্য হতেন।

পচনশীল প্লাস্টিক ব্যবসায়ী পার্থ সারথি মন্ডল বলেন, আমি এই ব্লকের বাসিন্দা। পঞ্চায়েতের উদ্যোগে আমরাও সবার ব্যবহারের স্বার্থে স্বল্প মূল্যে পচনশীল প্লাস্টিক তৈরি করছি। পশ্চিম বর্ধমান জেলা পরিষদের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ সুজিত মুখোপাধ্যায় বলেন,আমাদের দীর্ঘদিন ধরে প্লাস্টিক বর্জন মিশন আমরা চালাচ্ছিলাম। কিন্তু নিষিদ্ধ প্লাস্টিকের বিকল্প হিসেবে স্বল্প মূল্যে পচনশীল প্লাস্টিক ব্যবসায়ীদের দিতে পারছিলাম না। স্থানীয় এক প্লাস্টিক ব্যবসায়ীর সহযোগিতায় আমরা সেটা করতে পেরেছি।

বিডিও অর্ঘ্য মুখোপাধ্যায় বলেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মিশন নির্মল বাংলা প্রকল্পের আওতাধীন পঞ্চায়েত ও গ্রামন্নোয়ন দফতর প্লাস্টিক বর্জনের অভিযোগ অনেকদিন ধরেই চলছে।ওই দফতরের মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার মহাশয়ের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় এই উদ্যোগ বাস্তবায়িত করতে চলেছি আমরা।

Scroll to Top