বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুলের কোচিং ব্যবসার কারণে কোমলমতি শিশুদের মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে। কোচিং করার কারণে ছুটি হতে অনেক লেট হয়। সঠিক সময়ে ছুটি হলে বিমান দুর্ঘটনার অনেক আগেই শিক্ষাথীরা চলে যেতে পারত। মাসে বেতন ১৭০০ টাকা, কিন্তু কোচিংয়ে দিতে হয় ৩৫০০ টাকা।
তিনি বলেন, এছাড়াও অনেক অভিযোগ রয়েছে মাইলস্টোন কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। মালিক পক্ষ এসব অভিযোগের দায় এড়াতে পারে না। সঠিক তদন্ত হওয়া দরকার। তাহলে আরও কিছু বের হবে। এদেশের সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনা ঘটেছে, তারপরও স্কুল কর্তৃপক্ষ কোন কথা বলছে না।
মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান দুর্ঘটনায় শহীদ পরিবারের সাথে সহমর্মিতা জানাতে শুক্রবার (২০ জুলাই) বেলা ১১টায় দিয়াবাড়ীতে এসে এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, সব ক্ষতির ক্ষতিপূরণ হয় না। যারা চলে গেছে নিষ্পাপ শিশুদের জীবন তাহা হাজার কোটি টাকায়ও ফেরানো সম্ভব নয়।
বিএনপির এই নেতা বলেন, যদি আজ দেশে একটি রাজনৈতিক সরকার থাকতো, তাহলে সারা দেশে প্রতিবাদের আগুন ছড়িয়ে পড়তো। কিন্তু অনির্বাচিত সরকারের কারণে কারো কোনো জবাবদিহিতা নেই।
সরকারের উদ্দেশ্যে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আপনারা অন্তর্বর্তী হন কিংবা নিরপেক্ষ সরকার যাই হোন না কেন, দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিন। নির্বাচনের কথা শুনলেই আপনাদের চুল দাঁড়িয়ে যায় এমন মনোভাব চলতে পারে না।
তিনি আরও বলেন, সংস্কারের গান শুনিয়ে জনগণকে ঘুম পাড়িয়ে রাখার চেষ্টা করছেন। এখনই সময়, একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দিয়ে জনগণের প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব মোস্তফা জামান, যুগ্ম আহবায়ক এস. এম. জাহাঙ্গীর হোসেন, আফাজ উদ্দিন আফাজ, এম,কফিল উদ্দিন, উত্তরা পশ্চিম থানা বিএনপির মোস্তফা সরকারসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।