সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, আমার ঠিকানা প্রকাশ করার উদ্দেশ্য আমাকে নিরাপত্তাহীন অবস্থায় ফেলা। আমি নিজেকে রক্ষা করতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত। আর আমার বাড়ি ৩২ নম্বর নয়।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) জয় তার নিজের ভেরিফাইড ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার চাপে এবং জনরোষের মুখে পড়ে দূর্নীতি দমন কমিশনকে দিয়ে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলার চেষ্টা করছে। এই অভিযোগের মূল উদ্দেশ্য আমার ঠিকানা প্রকাশ করে আমাকে নিরাপত্তাহীন অবস্থায় ফেলা।
তিনি তার পোস্টে সরকারের সমালোচনা করে বলেন, এই অবৈধ সরকার এখন চাপে এবং জনরোষের মুখে পড়ে জনগণের দৃষ্টি ভিন্নখাতে নিতে আমার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনকে দিয়ে মিথ্যা অভিযোগ তোলার চেষ্টা করছে।
জয় বলেন, আমি ভার্জিনিয়ায় দুটি বাড়ির মালিক নই, একটিই আমার এবং সেটা আমি ২০১৮ সালে কিনেছি, গত বছর নয়। গত বছর আমার ডিভোর্স চূড়ান্ত হওয়ার পর মালিকানা শুধু আমার নামে করা হয়েছে। অন্য যে বাড়ির কথা বলা হচ্ছে, সেটিই ছিল আমার আগের বাড়ি,যেটি আমি বিক্রি করে এই বাড়িটি কিনেছি। আমার বাড়িটির মূল্য কেনার পর থেকে প্রায় ১৫ লাখ ডলার বা ১৮ কোটি টাকা বেড়েছে। আমি বর্তমান দামে এটি কিনিনি, অনেক কম দামে কিনেছিলাম।
জয় আরো বলেন, আমি কোনো সরকারি কর্মচারী নই। আমি একজন আইটি উদ্যোক্তা। আমার আয় সম্পূর্ণ বৈধ, আমি এখানে কর দিয়ে বসবাস করি। এফবিআই আমার বিষয়ে ইতিমধ্যে তদন্ত করেছে এবং অবৈধ কিছুই খুঁজে পায়নি। সেই কারণেই ইউনুসের সরকার যখন আমার বাংলাদেশি পাসপোর্ট বাতিল করেছিল, তখন আমি দ্রুত মার্কিন নাগরিকত্ব পেয়েছি। যুক্তরাষ্ট্রে সত্যিকারের আইন ও বিচারব্যবস্থা আছে।
দুদককে চ্যালেঞ্জ দিয়ে জয় বলেন, দুদক যদি আমার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে চায়, তাহলে তাদের আমন্ত্রণ জানাই। এসে চেষ্টা করে দেখুক। আমার আইনজীবীরা যুক্তরাষ্ট্রে দুদকের মোমেনের বিরুদ্ধে মামলা করতে তৈরি হয়ে আছে।
হাসিনা পুত্র বলেন, এই অভিযোগের মূল উদ্দেশ্য হলো আমার ঠিকানা প্রকাশ করে আমাকে নিরাপত্তাহীন অবস্থায় ফেলা। কিন্তু আমেরিকার বাস্তবতা হলো, এখানে ব্যক্তিগতভাবে অস্ত্র রাখা বৈধ এবং এর গুলিরও কোনো সীমাবদ্ধতা নেই। তাই এসব হুমকিতে আমি ভীত নই। আমি নিজেকে রক্ষা করতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত ও সক্ষম। আর একটা কথা, আমার বাড়ি নম্বর কিন্তু ৩২ নয়। ইউনুসের নেতৃত্বাধীন এই অবৈধ সরকার আমার কিছুই করতে পারবে না।