Hospital Shoot out case: বিহারের হাসপাতালে গুলিচালনায় অভিযুক্তদের পরিচয়পত্র ছাড়াই ঘরভাড়া দেওয়া হয় আনন্দপুরে

Hospital Shoot out case: বিহারের হাসপাতালে গুলিচালনায় অভিযুক্তদের পরিচয়পত্র ছাড়াই ঘরভাড়া দেওয়া হয় আনন্দপুরে

Last Updated:

Hospital Shoot out case: পরিচয়পত্র ছাড়াই গেস্ট হাউসে ঠাঁই গ্যাংস্টারদের। কলকাতা পুলিশের জারি করা সরকারি আদেশ লঙ্ঘনে আনন্দপুরের গেস্ট হাউস কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা কলকাতা পুলিশের। একইসঙ্গে সমস্ত থানাকে ফের সতর্ক করা হয়েছে লালবাজারের তরফে।

বিনা পরিচয়পত্রে বাড়ি ভাড়ার ঘটনাHospital Shoot out case: বিহারের হাসপাতালে গুলিচালনায় অভিযুক্তদের পরিচয়পত্র ছাড়াই ঘরভাড়া দেওয়া হয় আনন্দপুরে
বিনা পরিচয়পত্রে বাড়ি ভাড়ার ঘটনা

পটনার পারস হাসপাতালে গ্যাংস্টার চন্দন মিশ্রাকে গুলি করে খুন করার পরেই মাস্টার মাইন্ড শার্প শুটার তৌসিফ ও তার সহযোগীরা পালিয়ে চলে এসেছিলেন কলকাতা। এদিক ওদিক ঘুরে আশ্রয় নিয়েছিলেন আনন্দপুর থানা এলাকার মাদুরদহের হোসেনপুর রোডের এক গেস্ট হাউজে। অভিযোগ, পরিচয়পত্র যাচাই না করেই গ্যাংস্টারদের ঘর দেওয়া হয় ওই গেস্ট হাউসে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের পর তথ্য যাচাইয়ের পর স্পষ্ট হয় বৈধ পরিচয়পত্র না দেখা এবং নথি বা জেরক্স না নিয়েই ঘর ভাড়া দেওয়া হয়েছিল। এই বিষয়টি সামনে আসতেই গেস্ট হাউস কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করে আনন্দপুর থানা।

পুলিশ সূত্রে দাবি, উক্ত গেস্টহাউসের রেজিস্টার পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে ১৮ জুলাই কয়েকজনকে পরিচয়পত্র জমা না নিয়েই থাকতে দেওয়া হয়েছে। এমনকি যারা উঠেছিলেন তারা পরিচয় গোপন করেছেন এবং বৈধ পরিচয়পত্র দেননি। যা ৩০ মে ২০২৫ সালে কলকাতা পুলিশ গেজেটে প্রকাশিত ২৮/০৩/২৫ এর ২৯১/RPT মাধ্যমে জারি করা সরকারি আদেশ লঙ্ঘন করেছে গেস্ট হাউস কর্তৃপক্ষ। যার জেরে ওই গেস্ট হাউস কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে।

আনন্দপুরের মাদুরদহের হোসেনপুর রোডের ওই গেস্ট হাউস থেকে চারজনকে গ্রেফতার করে বিহার পুলিশের হাতে তুলে দেয় কলকাতা পুলিশের এসটিএফ। সোমবার তাদের বিহারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে খবর। গুলি চালানোর ঘটনার পর ভাই নিশু খানের চিকিৎসার নাম করেই কলকাতায় এসে গা ঢাকা দেওয়ার চেষ্টা করেন তৌসিফ। তৌসিফ রাজা ও তার ভাই নিশুর এক বান্ধবীর মাধ্যমেই আনন্দপুরের ওই গেস্ট হাউসের দু’টি ঘর ভাড়া নেওয়া হয়। ওই যুবতী উত্তর ২৪ পরগনার বিরাটির বাসিন্দা। তাঁর নামেই ঘর ভাড়া নেওয়া হয়। রেজিস্ট্রার খাতায় ওই যুবতী নিজের নাম ছাড়াও তৌসিফ, নিশু, হরিশ সিং ও শচিন সিংয়ের নাম লেখে। যদিও ওই খাতা ঘেঁটে পুলিশ জানতে পারে যে, শচিনের অন্য নাম ভীম ও হরিশের অন্য নাম হর্ষ। এই দু’জনই তৌসিফের গ্যাংকে বিভিন্নভাবে সাহায্য করতেন।

পুলিশের এক কর্তা জানান, লালবাজারের নির্দেশ অনুযায়ী, গেস্ট হাউসে আসা প্রত্যেক অতিথির আধার কার্ড বা অন্য কোনও ভারতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি জমা দিতে হবে হোটেল কর্তৃপক্ষকে। কোনও প্রয়োজনে বা হোটেল কর্তৃপক্ষের সন্দেহ হলে সেই ফটোকপি পুলিশকে দেওয়া হয়। অথচ তদন্তে গোয়েন্দারা জানতে পারেন যে, গত ১৮ জুলাই ঘর ভাড়া দিলেও কারও পরিচয়পত্রের কপি আনন্দপুরের গেস্ট হাউস কর্তৃপক্ষ চায়নি। এমনকী, ২৪ ঘণ্টা পরও সেগুলি চাওয়া হয়নি ওই গ্যাংস্টারদের কাছ থেকে। যা সরকারি আদেশ লঙ্ঘন হয়েছে বলে দাবি লালবাজারের।

Scroll to Top