Golda Chingri:  দুর্গাপুর ব্যারেজে দামোদর নদের জলাধারের গলদা চিংড়ির আজ অস্তিত্ব সংকটে

Golda Chingri:  দুর্গাপুর ব্যারেজে দামোদর নদের জলাধারের গলদা চিংড়ির আজ অস্তিত্ব সংকটে

Last Updated:

মৎসজীবীদের অভিযোগ, কিছু অসাধু মৎস্যজীবী  নেট জাল অর্থাৎ মশারী জাল ব্যবহারের কারণে মাছের চারা ও ডিম নষ্ট হচ্ছে।

+

Golda Chingri:  দুর্গাপুর ব্যারেজে দামোদর নদের জলাধারের গলদা চিংড়ির আজ অস্তিত্ব সংকটে

Durgapur Barrage 

পশ্চিম বর্ধমান, (দুর্গাপুর): দুর্গাপুর ব্যারেজে দামোদর নদের জলাধারের গলদা চিংড়ির একসময় রাজ্য জুড়ে ব্যাপক খ্যাতি ছিল। আর ওই দেড় হাত দাঁড় ওয়ালা কাল গলদা চিংড়ি এখন বিলুপ্তির পথে যেতে বসেছে। তাই দুর্গাপুর সহ ভিন জেলার খাদ্য রসিক মানুষ ওই গলদার স্বাদ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বর্তমানে।পাশাপাশি দুর্গাপুরের মৎসজীবীদেরও রোজগার কমেছে।

মৎসজীবীদের অভিযোগ, কিছু অসাধু মৎস্যজীবী  নেট জাল অর্থাৎ মশারী জাল ব্যবহারের কারণে মাছের চারা ও ডিম নষ্ট হচ্ছে।

ফলে এই নদে গলদা চিংড়ি সহ প্রায় সব প্রজাতির মাছের সংখ্যা কমছে।তারা মশারী জাল যাতে না ব্যবহার করে তার জন্য সচেতনতার বার্তা দিয়ে চলেছে।তাদের দাবি, মশারির জাল ব্যবহার বন্ধ না করলে গলদা চিংড়ির মত আরও নানা দেশি প্রজাতির মাছ বিলুপ্তির পথে চলে যাবে।

মৎস্যজীবীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের বন্যার মত প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে কৃষিকার্যে কৃত্রিম ভাবে জল সরবরাহ করার ক্ষেত্রে দুর্গাপুর জলাধারের জলের ভূমিকা কারও অজনা নয়।

পাশাপাশি ওই জলাধারের মাছের প্রজাতি ও স্বাদের বিষয়েও অনেকেই ওয়াকিবহাল আছেন। ওই নদে দুর্গাপুরের আশীষনগর সহ বেশ কয়েকটি এলাকার প্রায় ৮০০ পরিবার মাছ শিকার করে জীবিকা অর্জন করে থাকেন। পাশাপাশি বাঁকুড়া জেলার আরও এক হাজার মৎস্যজীবী পরিবারের রুজি রোজকার জোটে।

দামোদর নদে মেলে বড় আকারের গজাল, শোল, বোয়াল,পাবদা, কুচোচিংড়ি, চিতল, রুই, কাতলা, বাটা সহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। নদের অর্থাৎ মিষ্টি জলের মাছ হওয়ায় ওই সমস্ত মাছ ব্যাপক সুস্বাদু হয়।কিন্তু দীর্ঘ প্রায় ৫-৭ বছর ধরে দামোদর নদের ওই জলাধারের গলদা চিংড়ি হঠাৎই উধাও হয়ে যাওয়ার ব্যপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন।

Deepika Sarkar

Scroll to Top