ঘরের একঘেয়েমি দূর করতে আসবাবপত্রে দিন নতুন মাত্রা

ঘরের একঘেয়েমি দূর করতে আসবাবপত্রে দিন নতুন মাত্রা

সারাদিন কর্মব্যস্ততা শেষে যখন ঘরে ফিরে আসেন, তখন একটু প্রশান্তির আশায় তাকিয়ে থাকেন নিজের চেনা চার দেয়ালের দিকে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে একইভাবে সাজানো ঘর, এক জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকা আসবাবপত্র, দেয়ালে সেই পুরনো ছবি বা পর্দাগুলো হঠাৎ করেই একঘেয়ে লাগতে পারে। মনে হয় যেন ঘরের মধ্যে থেকেও যেন কোথাও বন্দি হয়ে গেছি।

এই একঘেয়েমি দূর করার এক সহজ কিন্তু কার্যকর উপায় হলো— ঘরের আসবাবপত্রের অবস্থান বদলানো। হ্যাঁ, একটু নড়াচড়া, একটু নতুন চিন্তা আপনার পরিচিত জায়গাকেই এনে দিতে পারে একদম নতুন একটা অনুভূতি।

ঘরের একঘেয়েমি দূর করতে আসবাবপত্রে দিন নতুন মাত্রা

কেন প্রয়োজন আসবাবপত্রে পরিবর্তন?

মনোবিদদের মতে, দীর্ঘদিন ধরে একই পরিবেশে বসবাস করলে মানুষের মস্তিষ্কে একধরনের একঘেয়েমি ও বিষণ্নতা তৈরি হতে পারে। ঘরের অভ্যন্তরীণ পরিবেশে সামান্য পরিবর্তন এনে দিলে মনেও আসে ইতিবাচক পরিবর্তন। এটি ঠিক যেন নতুন কোন জায়গায় বেড়াতে যাওয়ার মতো অনুভূতি জাগায়।

কীভাবে করবেন পরিবর্তন?

সোফা বা খাটের স্থান পরিবর্তন করুন: ড্রইংরুমের সোফাগুলো অন্য কোন দেয়ালের দিকে সরিয়ে দিন। বেডরুমের খাট যদি জানালার বিপরীত দিকে থাকে, সেটিকে জানালার পাশে সরিয়ে দিন।

আলো ও বাতাসের নতুন খেলা: আসবাবের অবস্থান বদলালে ঘরে আলোর দিকও বদলায়। এতে নতুনভাবে রোদ বা বাতাস ঢুকতে পারে, যা ঘরটিকে আরও প্রাণবন্ত করে তোলে।

ছোট ছোট জিনিসেও আনুন বৈচিত্র্য: দেয়ালে ঝোলানো ছবির ফ্রেম, কুশন কাভার, পর্দা, ছোট টেবিল কিংবা প্ল্যান্টার—এসব একটু নড়াচড়া করলেই ঘরের চেহারায় বড় পরিবর্তন আসতে পারে।

দেয়াল সাজান ভিন্নভাবে: পুরনো ক্যালেন্ডার, বাচ্চার আঁকা ছবি, অথবা হাতের তৈরি কিছু শিল্পকর্ম নতুনভাবে সাজিয়ে তুলতে পারেন দেয়াল।

গৃহসজ্জায় আনুন মৌসুমি ছোঁয়া: গ্রীষ্মে হালকা রঙের পর্দা, শীতে গাঢ় টোনের আসবাবের কাভার ব্যবহার করলে ঋতু অনুযায়ী ঘরে তৈরি হবে এক নতুন আবহ।

সবশেষে বলা যায়, একই জায়গায় থেকে জীবন যাপনে যদি একঘেয়েমি চলে আসে, তাহলে একটু পরিবর্তনই হতে পারে বড় আনন্দের উৎস। আসবাবপত্র সরাতে খরচ লাগে না, প্রয়োজন শুধু একটু সময় আর ভাবনার। আপনি বদলে দিন ঘরের আবহ, বদলে যাবে আপনার মনের আবহাওয়াও!

Scroll to Top